ইতিমধ্যে গতকাল ২০০ কোটি টাকা প্রতারণার মামলায় ধৃত সুকেশ চন্দ্রশেখর এবং বলিউড হার্টথ্রব অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের ঘনিষ্ঠ পিংকি ইরানিকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেছে এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট(ইডি)। শোনা যাচ্ছে জেলে বসেই সুকেশ নাকি রীতিমতো বিলাসবহুল অফিস চালাত। সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন এই অফিসে নাকি বলিউডের অভিনেত্রীরা দেখা করতে আসতেন। ইতিমধ্যে এই প্রধান অভিযুক্ত প্রতারকের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে বলিউডের তাবড় অভিনেত্রীদের। এমনকি এ ব্যাপারে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ এবং নোরা ফাতেহিকে তলব করে ইতিমধ্যে জেরা করেছে ইডি। ইডি সম্প্রতি নাকি জানতে পেরেছে সুকেশ চন্দ্রশেখর জেল কর্তৃপক্ষকে মোটা অংকের টাকার বিনিময় সেখানে আধুনিক অফিস চালাতেন। জেলের মধ্যেই নাকি পার্টি করতেন প্রায়। উপস্থিত থাকতেন বলিউডের ১২জন অভিনেত্রী ও এক সুপারমডেল। সুকেশ মামলায় জেরার মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী তথা সুকেশের স্ত্রী লীনা মারিয়া পলও।তদন্তকারীদের চোখে তিনি নাকি মূলচক্রী। জেরায় তিনি জানিয়েছিলেন যে চন্দ্রশেখরের জেলের অফিসে সোফা, ফ্রিজ, টিভির মতো অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা ছিল।
চন্দ্রশেখর এর পরিচিত বহু মহিলা এইসব পার্টিতে আসতেন। অভিনেত্রীদের জেলা রেজিস্ট্রারে কোন এন্ট্রি করাতে হত না। বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন কে পিংকি টাকার বিনিময় সুরেশের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। জ্যাকলিনের ব্যক্তিগত মেকআপ আর্টিস্ট শান মুক্তাথিলের বয়ানে তা জানা গেছে বলে ইডি সূত্রের খবর। গতকাল পিংকি এবং জেলবন্দি সুরেশকে একইসঙ্গে জেরা করার পর সুনির্দিষ্ট এই ধরনের কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। শান জেরায় জানিয়েছেন,২০২১ এর জানুয়ারিতে এঞ্জেল নামে এক মহিলা সুখের সঙ্গে তাঁকে আলাপ করিয়ে দেন। তখন সুকেশ অবশ্য তার নাম বলেছিলেন ‘শেখর’। শানের দাবি অনুযায়ী সুকেশ সে সময় ধোকা দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দফতরের কর্মী হিসেবে দাবি করেন।
সুকেশর বিরুদ্ধে অভিযোগ একটি ওষুধ সংস্থার সঙ্গে ২০০ কোটি টাকার প্রতারণা করেছিলেন সুরেশ-লীনা। এরপর এই তদন্ত যতই এগোয় ততোই জ্যাকলিনের নাম জড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে।সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সুকেশের গালে জ্যাকলিনের চুম্বনের ছবি। ইডি বেশ কিছুদিন আগে দাবি করেছিল অভিযুক্ত সুকেশ চারটি ৪টি পার্সি বিড়াল যার মূল্য ৯ লক্ষ টাকা, একটি ঘোড়া, বহুমূল্য গহনাগাটি এবং অন্যান্য মূল্যবান উপহার জ্যাকলিনকে দিয়েছিলেন। এছাড়াও অভিনেত্রী নোরা উপহার হিসেবে একটি দামি গাড়ি পেয়েছিলেন সুকেশের কাছ থেকে। বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে রয়েছে ১৫ টি এফআইআর। অভিযোগ, তিনি বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাইয়ের বহু লোকের কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন। প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে সুকেশ কয়েকশো মানুষকে কাজ দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা ঠকিয়েছেন। প্রতারণার টাকা দিয়ে তিনি রোল্স রয়েস-এর মতন দামি গাড়ি কিনেছেন বলেও অভিযোগ।