আসানসোল: এ বার আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয়’র গড়ে ভাঙন। এক ঝাঁক দলীয় কর্মী এবং নেতা গেরুয়া শিবির ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে। সব মিলিয়ে নেতা স্তরের দল বদলালেন ৩৮ জন। এর বাইরেও আরও প্রায় ৩ হাজার কর্মী সমর্থক তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে নিলেন।
এর পরেই আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের ট্যুইট। বিষয়টিকে তিনি বিজেপি শিবিরে তৃণমূলের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হিসেবেই দেখছেন। তাঁর বক্তব্য়, রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ দেখেই বিজেপি ছেড়ে এতো জন মানুষ এক সঙ্গে তৃণমূলে। রবিবার আসানসোল রবীন্দ্র ভবনে তাঁর হাত ধরেই বিজেপির জেলা সম্পাদক-সহ ৩৮ জন পদাধিকারী তৃণমূলে যোগ দেন। সঙ্গে ৩ হাজারেরও বেশি কর্মী-সমর্থক ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। প্রত্যেকেই আসানসোল উত্তর বিধানসভা এলাকার বিজেপি কর্মী-সর্মথক।
মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ‘বহু পুরোনো বিজেপি নেতা ও ৩ হাজারের বেশি বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷ কারণ, তাঁরা বুঝতে পেরেছেন পশ্চিমবঙ্গের উন্নতি মমতা বন্দোপাধ্যায়ই করছেন৷ আগামী দিনে দেশের উন্নতি মমতা বন্দোপাধ্যায় করবেন।’
সদ্য প্রাক্তন বিজেপি জেলা সম্পাদক মদন মোহন চৌবে বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে বিজেপি করছি। কিন্তু, এখন বিজেপিতে নোংরামি চলছে৷ দলের কর্মীরা অবহেলিত৷ ভাষা নিয়েই দলের অন্দরে রাজনীতি চলছে। কিন্তু, আমরা চাই আসানসোল শিল্পাঞ্চলে মা মাটি মানুষের সরকার থাকবে৷ আর, হিন্দিভাষীদের উন্নয়ন করবে।’ সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিজেপির আসানসোল উত্তর বিধানসভার কনভেনার ডাক্তার দেবাশিস সরকার বলেন, ‘বিজেপিতে নীতি আদর্শের অভাব রয়েছে। মানুষের কোনও কাজ হচ্ছে না। বিগত সাত বছরে সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় কোনও কাজই করেননি। বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মানুষের কাজ করতে এবং আগামী দিনে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ শক্ত করতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি।’