কলকাতা: রবিবার আনন্দপুর থেকে গ্রেফতার হওয়া ১৭ বাংলাদেশি নাগরিককে (Bangladeshi Arrest) নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি কলকাতা পুলিসের (Kolkata Police) । এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে তদন্তকারীরা জানাতে পারেন, মাস দেড়েক আগে তারা আনন্দপুরের ওই বাড়িটিতে ওঠে। তবে, ধৃতরা ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল নাকি অন্য কোনও উদ্দেশ্যে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল, লালবাজারের (Lalbazar) গুন্ডা দমন শাখার তদন্তকারীরা তা জানার চেষ্টা করছেন। যিনি এর উত্তর দিতে পারেন, আনন্দপুরের সেই বাড়ির মালিক কওসর বেপাত্তা। ১৭ জন গ্রেফতার হওয়ার পরেই আত্মগোপন করে কওসর। ফলে, কওসরকে ঘিরে সন্দেহ আরও দৃঢ় হচ্ছে।
লালবাজারের একটি সূত্রে খবর, আনন্দপুরের ওই বাড়িটিতে একটি মাদ্রাসা চলত। আড়াই মাস আগে সেই মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে যায়। সেখানেই ধৃতরা থাকতে শুরু করেছিল। মাদ্রাসা চলার বিষয়টি পুলিসের গোচরে আসার পরেই, নড়েচড়ে বসেছেন গোয়েন্দারা। মাদ্রাসার বৈধ অনুমতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আনোয়ার হোসেন নামে এলাকার এক দোকানদার তদন্তকারীদের জানান, এই দেড় মাসে ১৭ জনকে একসঙ্গে কখনও রাস্তায় দেখা যায়নি। দু’জনের বেশি একসঙ্গে তারা বেরোত না। প্রত্যেকেই খুব পান খেত। দোকানে এসে দামি ব্র্যান্ডের সিগারেটের খোঁজ করত। তারা বাংলায় কথা বললেও বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষা হওয়ার কারণে বোধগম্য হত না দোকানির। তবে, এদের কোনও বদ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে হয়নি ওই দোকানির।
আরও পড়ুন-ঔরঙ্গজেব কাশী এলে শিবাজী রুখে দাঁড়াতেন, দাবি প্রধানমন্ত্রী মোদির