শান্তিপুর: ভাগীরথী(Bhagirathi) নদীতে জলপ্রকল্পের পাশেই বড়সড় ফাটল(erosion)। জলপ্রকল্প বন্ধ হয়ে গেলে পানীয় জল থেকে বঞ্চিত হবেন পুরসভা এলাকার মানুষ। সেই কারণেই তড়িঘড়ি গঙ্গা ভাঙন রোধের কাজ শুরু করতে এলাকা পরিদর্শনে এলেন শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী (Braja Kishore Goswami) এবং সেচ দফতরের প্রতিনিধিদল।
নদীয়ার শান্তিপুর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের স্টিমারঘাট এলাকায় একটি জলপ্রকল্প রয়েছে। এই জলপ্রকল্পের মাধ্যমেই শান্তিপুর পুরসভার মানুষের কাছে পানীয় জল পৌঁছে যায়। দীর্ঘদিন ধরেই ভাগীরথী নদীতে বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন অব্যাহত। দিন কয়েক আগে ওই জলপ্রকল্পের পাশে একটি বড় ফাটল দেখা যায়। সেই কারণে দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে শান্তিপুরের বাসিন্দাদের। তার কারণ জলপ্রকল্প বন্ধ হয়ে গেলে দীর্ঘদিন পানীয় জল থেকে বঞ্চিত থাকবেন তাঁরা।
এদিন সেচ দফতরের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে ভাঙন এলাকৈ পরিদর্শনে আসেন এলাকার নবনির্বাচিত বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। বিধায়ক বলেন, ইতিমধ্যেই গঙ্গা ভাঙনের কথা আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বলেছি। তাঁকে অনুরোধ করেছি, যাতে অতি দ্রুত গঙ্গা ভাঙন রোধ করা যায় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। এদিন যেহেতু জলপ্রকল্পের পাশেই একটি ফাটল দেখা গিয়েছে, সেই কারণে সেচ দফতরের প্রতিনিধিদল নিয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসলাম। গোটা বিষয়টি সেচ দফতরের প্রতিনিধিদলও ঘুরে দেখল।
আরও পড়ুন: Miss Universe : ইজরায়েলে মিস ইউনিভার্স হলেন পঞ্জাবের তরুণী হারনাজ সান্ধু
আশা করা যায়, এই ভাঙনের ফলে জলপ্রকল্পের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, অতি দ্রুত সেই ব্যবস্থা করা হবে। এ বিষয়ে সেচ দফতরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সুব্রতকুমার মণ্ডল বলেন, বিধায়ক যে রিপোর্ট দিয়েছেন আমরা সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলাম। পুরো বিষয়টি সেচ দফতরের কাছে তুলে ধরব এবং যাতে অতি দ্রুত কাজ শুরু করা যায়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করব।