দেশে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত। শনিবারের পর রবিবারও বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ৩৩ পয়সা এবং ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ২৫ পয়সা বাড়ল। আজ শহরে পেট্রোলের দাম হয়েছে লিটারে ৯৮ টাকা ৩০ পয়সা। ডিজেলের দাম হয়েছে লিটারে ৯১ টাকা ৭৫ পয়সা। দেশের অনেক শহরে ইতিমধ্যেই সেঞ্চুরি পার করেছে পেট্রোল।
এই নিয়ে ৫৫ দিনে ভারতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল ৩১ বার। ক্রমাগত জ্বালানির দাম বাড়ায় প্রভাব পড়ছে বাজারে। শনিবার কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ৩৪ পয়সা এবং ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৩৫ পয়সা বেড়েছিল। তার আগে বৃহস্পতিবারও বেড়েছিল জ্বালানির দাম। সেদিন কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ২৫ পয়সা এবং ডিজেলের দাম ৭ পয়সা বেড়েছিল।
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গনা এবং লাদাখের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই পেট্রোলের দাম ১০০-র গণ্ডি পার করেছে। স্থানীয় কর ও পরিবহন খরচ অনুসারে দেশের বিভিন্ন স্থানে পেট্রোল ও ডিজেলের দামের কিছুটা ফারাক হয়ে থাকে। একনজরে জ্বালানির দাম-
মহানগর | পেট্রোল | ডিজেল |
দিল্লি | ৯৮.৪৬ | ৮৮.৯০ |
মুম্বই | ১০৪.৫৬ | ৯৬.৪২ |
চেন্নাই | ৯৯.৪৯ | ৯৩.৪৬ |
কলকাতা | ৯৮.৩০ | ৯১.৭৫ |
করোনা পরিস্থিতিতে রুটি-রুজি হারিয়ে সংকটে বহু মানুষ। এরই মধ্যে জ্বালানির দাম বেড়ে চলায় চিন্তার ভাঁজ আমজনতার কপালে। যদিও পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চুপ অমিত শাহও। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, কেন্দ্রের উচিৎ তেলের এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা। না হলে দেশের অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
তবে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সম্প্রতি বক্তব্য, জ্বালানির দামবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু করোনার ভ্যাকসিনের জন্য এক বছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য অর্থ সঞ্চয় করছে কেন্দ্রীয় সরকার।