কোচবিহার: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ৷ তার জেরে প্রাণ হারালেন দলেরই এক কর্মী (TMC Leader)৷ নিহতের নাম কাশিম আলি৷ এছাড়া গুরুতর জখম হয়েছেন ৯ জন৷ শুক্রবার সকালে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে তুফানগঞ্জের (Cooachbehar) পূর্ব ফলিমালি এলাকায়৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ বাইক ভাঙচুর থেকে শুরু করে বাড়িতে ঢুকে ফার্নিচার অবধি পুড়িয়ে দেওয়া হয়৷ পরিস্থিতি সামলাতে বিরাট পুলিশ বাহিনী ও ব়্যাফ নামানো হয়৷ তার পর থেকেই থমথমে গোটা এলাকা৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, পার্থপ্রতিম রায় ঘনিষ্ঠ গোকুল সাহার অনুগামী এবং ব্লক সভাপতি ধনেশ্বর বর্মনের অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরেই আজ এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়৷ প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, তীর, ধনুক, লাঠি নিয়ে একে অপরের উপর চড়াও হয় দুই গোষ্ঠীর নেতারা৷ যদিও তা অস্বীকার করে গোকুল সাহা জানিয়েছেন, বিজেপিতে থেকে আসা ধনেশ্বর বর্মনের অনুগামীরা তাঁদের কর্মীদের উপর চড়াও হয়৷ কয়েকজনকে ব্যাপক মারধর করে৷ পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি৷
তুফানগঞ্জে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে ভাঙচুর করা হয় বাড়িতে৷ শুক্রবার৷ নিজস্ব চিত্র৷
আজ সকাল ১০টায় পার্টি অফিসে প্রত্যেকটা বুথের মিটিং ডেকেছিলেন গোকুল সাহা৷ সেই মিটিংয়ে যাওয়ার পথেই সংঘর্ষে জড়ায় দুই গোষ্ঠী৷ গোকুল সাহার অভিযোগ, ধনেশ্বর বর্মনের কিছু অনুগামী আমাদের কর্মীদের মিটিংয়ে আসতে বাধা দেয়৷ আচমকাই তাঁরা চড়াও হয়৷ আমাদের পাঁচটা বাইক ভেঙে দেয়৷ চারজনকে এমন ভাবে মেরেছে যে তারা গুরুতর জখম হয়ে এখন আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে৷
আরও পড়ুন: ChitFund Scam: চিটফান্ড-কাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে বর্ধমানের তৃণমূল নেতা
এই ঘটনার পরই এলাকায় পাঠানো হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী৷ এদিকে গোষ্ঠী সংঘর্ষের কথা অস্বীকার করেছেন জেলা সভাপতি গিরিন্দ্রনাথ বর্মন৷ তিনি জানিয়েছেন, দলের মধ্যে কোনও গোষ্ঠী বিবাদ নেই৷ কী কারণে অশান্তি হল তা দলীয়ভাবে খোঁজ নেওয়া হবে৷