কোহিমা: নাগাল্যান্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিরীহ গ্রামবাসীদের মৃত্যুর পর থেকেই উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আফস্পা (AFSPA Nagaland) প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে। নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেউফিও রিও কেন্দ্রের কাছে এই বিতর্কিত আইন প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছেন৷ এ বার আফস্পা (AFSPA) বাতিল নিয়ে নাগাল্যান্ড মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পাস হল।মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব পাস হয়েছে প্রস্তাব। রাজ্য থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছে নাগাল্যান্ড সরকার।
উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির বিচ্ছিন্নতাকামী শক্তি দমনে সেনাবাহিনীর হাতে বাড়তি ক্ষমতা তুলে দিতে ১৯৫৮ সালে দ্য আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট সংক্ষেপে আফস্পা চালু করে কেন্দ্র৷ আজও অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মেঘালয়, অসম এবং ত্রিপুরায় চালু আছে৷ স্বাধীনতার এত বছর পরও এই আইন চালুর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে হামেশাই প্রশ্ন উঠেছে৷ উত্তর-পূর্বের বহু মানুষের চোখে আফস্পা হল ‘কালা আইন’৷
উত্তর-পূর্বের মানুষদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, আইনের অপপ্রয়োগ করে সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের উপরই দমন পীড়ন চালায়৷ এই আইনে বলা আছে, আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে এমন কোনও ব্যক্তিকে স্রেফ সন্দেহের বশে সেনাবাহিনী গ্রেফতার এবং গুলি করতে পারবে৷ বিনা ওয়ারেন্টে যে কোনও জায়গায় তল্লাশি চালার অধিকারও দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীকে৷ সন্দেহজনক গাড়ি থামিয়ে রাস্তায় তল্লাশি করতে পারবে৷ সর্বোপরি এই আইন সেনাবাহিনীকে রক্ষাকবচও দেয়৷
আরও পড়ুন: Nagaland : বুঝতে ভুল, নাগাল্যান্ডে জঙ্গি দমন অভিযানে প্রাণ গেল ১৩ গ্রামবাসীর, মৃত জওয়ানও
শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৩ নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যুর পর থেকেই আরও জোরাল হয় আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি। নাগাল্যান্ড সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী করনাড সাংমা আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি তোলেন। মঙ্গলবার নাগাল্যান্ড মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়, আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্রকে চিঠি লেখা হবে।