হ্যাঁ, এটা ঠিক কোভিড অতিমারির কারণে মূল্যবৃদ্ধি বিশ্ববাসীর কপালে চওড়া ভাঁজ ফেলেছে। উন্নীত থেকে উন্নয়নশীল, করোনাকালে বিশ্বের সব দেশের বাজারই এখন অগ্নিমূল্য। তাই বলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে পছন্দের এক প্লেট ছোলা ভাটুরা খেতে গিয়ে একটা নয় দুটো নয় দশ দশটা ১০০র নোট পকেট থেকে বার করতে হলে একবার ভাবুন কী রকম লাগবে। দাম শুনেই তো খিদের ইচ্ছে মরে যাবে!
এর থেকেও করুন অবস্থা হয়েছে সুইডেনের স্টকহলম শহরে থাকা এই ভারতীয় যুবকের। বিদেশে আচমকা পছন্দের দেশী খাবার খাওয়ার এমন লিপসা হল যে ইনি শহরের একটি ভারতীয় রেস্টুরেন্টে গিয়ে এক প্লেট ছোলা ভাটুরার অর্ডার দিয়ে বসলেন। যদিও পরিবেশন ও স্বাদ তেমন মন মত হয়নি ঠিকই তবে দেশি খাবার খাওয়ার সাধটা মিটল এই ভেবেই খুশি মনে খাবারের দাম মেটাতে গিয়ে একেবারে হতবাক তিনি। এক প্লেট ছোলা ভাটুরার দাম কিনা এক হাজার টাকা!দাম দেখে চক্ষু চড়কগাছ।
স্টকহলমে খেতে গিয়ে তাঁর এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা রেডিট-এ শেয়ার করেছেন ওই ব্যক্তি। সেখানে ওই এক প্লেট ছোলা ভাটুরার দুটি ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটা ভটুরা আর তার ওপর ছোট এক হাতার মাপের ছোলা সঙ্গে প্রচুর স্যালাড ও ধনে পাতা কুচি দিয়ে প্লেট সাজানো। প্লেটে রাখা ছুরি কাটা। ছবি দুটি তাঁর ইউজার আইডি @pillsburyboi থেকে শেয়ার করেছেন।
তার এই পোস্টে উপচে পড়েছে নেটিজেনদের কমেন্ট। খাবারের প্লেটের ছবি ও তার দাম দেখে একরাশ বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রত্যেকেই। কেও খাবারের পরিমান ও পরিবেশন নিয়ে বিরক্তি জানিয়েছেন। কেও আবার ওই ব্যক্তিকে ভারতে এসে ছোলা ভাটুরা খেয়ে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন।
ওই ব্যক্তি তাঁর পোস্টে আরও জানিয়েছেন ভাটুরাটা খেতে মিষ্টি, মোটা ও শুকনো। এদিকে সেই ছোলা নাকি একেবারে বিস্বাদ। তেমন ভাবে কোনও মশলাও ছোলায় দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র নুন ও গোলমরিচ দিয়ে রান্না করা। ভাটুরা আকারে বেশ ছোট। তিনি লেখেন নিশ্চই এটা ইচ্ছাকৃত বানানো হয়েছে যাতে তিনি আরও একটি ভাটুরা অর্ডার করেন। তাই পোস্টে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ওই ব্যক্তি লিখেছেন “পছন্দের খাওয়ার খেতে গিয়ে একরাশ হতাশা নিয়ে আমাকে ১৬০সুইডিশ ক্রোন যা ১৬ মার্কিন ডলার কিংবা ভারতীয় মুদ্রায় এক হাজার টাকা খরচ করতে হল। বিল মিটিয়ে একরাশ হতাশা নিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরোলাম। ”