হুগলি: দিন কয়েক আগেই হুগলির সিঙ্গুরে (Hoogly Singur) সম্পত্তি নিয়ে বিবাদে খুন হন একই পরিবারের চার জন। এ বার একই কায়দায় হুগলিরই চণ্ডীতলার (Hoogly Chanditala) নৈটিতে খুন করা হল পরিবারের তিন জনকে। ব্যবসায়ী দম্পতি ও তাঁদের একমাত্র মেয়েকে খুন করা হয়েছে। খুনে অভিযুক্তরা নিহত ব্যবসায়ীর তুতো ভাই। সিঙ্গুরের ক্ষেত্রেও খুনে মূল অভিযুক্ত পরিবারেরই এক সদস্য। চণ্ডীতলা খুনের ঘটনায় পুলিস ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর চণ্ডীতলার পুলিস জানায়, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই একই পরিবারের তিন জনকে কুপিয়ে খুন করা হয়। নিহতরা সঞ্জয় ঘোষ, তাঁর স্ত্রী মিতালী ঘোষ ও মেয়ে শিল্পা। এই খুনের ঘটনায় পুলিস তপন ঘোষকে আটক করে। তপন সঞ্জয়ের তুতো ভাই। আর এক অভিযুক্ত তপনের ছোট ভাই শ্রীকান্ত ঘোষ ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা। পুলিস তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে চণ্ডীতলার নৈটি এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সঞ্জয় ঘোষ, তাঁর স্ত্রী মিতালী ও মেয়ে শিল্পাকে কুপিয়ে খুন করে তাঁদেরই আত্মীয় শ্রীকান্ত ঘোষ ও তপন ঘোষ।
মুম্বই থেকে দিন কয়েক আগেই চণ্ডীতলায় ফিরেছিলেন শ্রীকান্ত। প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব একটা মেলামেশা করতে দেখা যায়নি শ্রীকান্তকে। পড়শিদের ধারণা, অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল শ্রীকান্ত। শ্রীকান্ত ও সঞ্জয়ের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে যে বিবাদ চলছিল, তা প্রতিবেশীরাই পুলিসকে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- লালগড়ে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধৃত বিজেপি নেতা!
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ সঞ্জয়দের বাড়িতে চিত্কানর চেঁচামেচি শুরু হয়। অভিযোগ, সঞ্জয়ের বাড়িতে ঢুকে প্রথমে তাঁর উপর চড়াও হয় শ্রীকান্ত। শাবল দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। এর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো বয়। মিতালী বাধা দিতে গেলে তাঁকেও একই কায়দায় খুন করা হয়। চোখের সামনে মা-বাবাকে খুন হতে দেখে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন মেয়ে শিল্পা। শ্রীকান্ত একই ভাবে ভাইঝিকেও খুন করে বেপাত্তা হয়ে যায়। পুলিস এখনও পর্যন্ত শ্রীকান্তর পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর দাদা তপন ঘোষকে আটক করা হয়েছে। মৃতদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।