কলকাতা: প্রাক-প্রাথমিকে (Pre-Primary Admission) ভর্তির লটারির আবেদনপত্র ও লটারির দিনক্ষণ এবং ভর্তির সময়সীমা বেঁধে দিল শিক্ষা দফতর। ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুল থেকেলটারির আবেদনপত্র বিতরণ করা হবে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোনও দিন স্কুল তার প্রয়োজন ও পছন্দ মতো লটারি করতে পারে। ২১ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে লটারির (Pre-Primary Admission) মাধ্যমে নির্বাচিত পড়ুয়ারা ভর্তি হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল শিক্ষা দফতর।
করোনা বা অন্য কোনও কারণে স্কুলছুট হওয়া পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরাতে বিশেষ তোড়জোড় শুরু করল স্কুল শিক্ষা দফতর। ভর্তি সংক্রান্ত স্মারকলিপি তৈরি করে জেলাভিত্তিক সমগ্র শিক্ষা মিশনের অধিকর্তাদের বিষয়টি দেখার নির্দেশ শিক্ষা দফতরের। শুক্রবারই মেমোরেন্ডাম প্রকাশ করে দফতর। সরকারি, সরকার-পোষিত, সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত এবং এসএসকে এমএসকে সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির বিজ্ঞপ্তি বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিভিন্ন শ্রেণিতে নির্দিষ্ট বয়স অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার অধিকার আইন ২০০৯ অনুসারে কোনও পড়ুয়া যেন কোনও ভাবেই তার নিকটস্থ বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না হারায়, সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে প্রতিটি শ্রেণিতে ভর্তির সময় পড়ুয়াদের বয়স কত হবে, সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুসারে সাধারণ বিভাগ ছাড়াও তফশিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ভর্তির জন্য যে সংরক্ষণ ব্যবস্থা রয়েছে সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Rampurhat Corona: পূর্বস্থলীর পর এ বার রামপুরহাট, শিক্ষিকার কোভিড সংক্রমণে বন্ধ হল স্কুল
নির্দিষ্ট বয়স সীমার বাইরে কোনও পড়ুয়া যদি নির্দিষ্ট শ্রেণিতে ভর্তি হতে চায়, চার মাস বয়স সীমা ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ভর্তির সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী সমস্ত পড়ুয়াদের তার বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট শ্রেণিতে ভর্তির ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়কে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একটি নির্দিষ্ট বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনকারীর সংখ্যা যদি বেশি হয়, তবে লটারির মাধ্যমে ভর্তির বন্দোবস্ত করার কথা বলা হয়েছে। কোনও ভাবেই অন্য কোনও পদ্ধতির দ্বারা (পরীক্ষা, ইন্টারভিউ) পড়ুয়াদের নির্দিষ্ট বিদ্যালয়ে ভর্তির নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না, সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে।