কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যে দুর্নীতি হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টে তা স্বীকার করে নিল রাজ্য সরকার। দু’মাসের মধ্যে বিষয়টি পর্যালোচনা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর বিধানসভার মধ্যে পড়ে লোধান গ্রাম পঞ্চায়েত। অভিযোগ, এই লোধান গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯৭ জন বাসিন্দা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধে পাননি। আবেদনকারীদের একজন নুরজার বানুর আইনজীবী রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের অভিযোগ, চলতি বছরের অগস্ট মাসে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল, ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯৭ জন গরিব মানুষ আবেদন করা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা পাচ্ছে না। পরিদর্শক এসে পরিদর্শন করে যাওয়ার পরেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ওই ১৯৭ জনের তালিকা পেশ করা হয়নি। ফলে তারা এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
নুরজার বানুর আইনজীবীর সওয়ালের প্রেক্ষিতে সরকার পক্ষের কৌঁসুলি অভিযোগ মেনে নেন। আদালতকক্ষে দাঁড়িয়ে তিনি স্বীকার করেন এই ১৯৭ জনের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সুবিধা পাওয়া উচিত ছিল। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ত্রুটি যে রয়েছে,
তা নিসংকোচে মেনে নেন সরকার পক্ষের আইনজীবী।
আরও পড়ুন – ‘দলে পিকে-র গুপ্তচর রয়েছে এতে বিজেপির কোনও দোষ নেই’, সাফাই তথাগতর
দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ১৯৭জন আবেদনকারী যাতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা পান, স্থানীয় প্রশাসনকে তা দেখতে হবে। এ জন্য দু’মাস সময় বেঁধে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা থেকে বঞ্চিত ১৯৭ জনকে এর মধ্যে নতুন করে আবেদনও করতে বলেছে হাইকোর্ট। দু’মাস পর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।