নয়াদিল্লি: কংগ্রেস ও তৃণমূলের দূরত্ব এখন শিরোনামে (pk tmc)। এরই মধ্যে নাম না করেই সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুলকে নিশানা করলেন মমতার ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোর ( Prashant Kishor New ) । বললেন, ‘বিরোধীদের নেতৃত্ব কে দেবেন, তা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ঠিক হোক।’ তবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির অর্থ ঠিক কী? বা কী ভাবে নেতৃত্বের মুখ ঠিক করা হবে, তা খোলসা করেননি প্রশান্ত কিশোর (prashant kishor ipac)।
২০২৪-এর আগে নরেন্দ্র মোদির পালটা কে হবেন বিরোধী দলের মুখ? তা নিয়ে এখন আকচা আকচি চলছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল শিবিরের মধ্যে। ভোট-কুশলী পিকে’র খোঁচা, কংগ্রেসের মধ্যে এমন কোনও নেতা নেই যিনি একক ভাবে ভোট জেতাতে পারেন। এ নিয়ে কিছু তথ্যও দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর দাবি, গত দশ বছরে কংগ্রেস নির্বাচনে অংশ নিয়ে নব্বই শতাংশেরও বেশি বার হেরে গিয়েছে। অর্থাৎ ভোট জিততে কংগ্রেসের সাকসেস রেট দশ শতাংশেরও কম।
এটা ঠিকই গত দুই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি’র নজিরবিহীন সাফল্য এসেছে। আর সেই সাফল্যের কান্ডারি একজন। তিনি নরেন্দ্র মোদি। মোদির মুখকেই ভরসা করে একের পর এক ভোট-তরণি পেরিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস রাহুল গান্ধির মুখ বাজি রেখে ভোট লড়েছিল। কিন্তু রেকর্ড ভোটে জিতে দ্বিতীয় বারের জন্য দিল্লির সিংহাসনে বসেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ্ জুটি। সামনেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিরোধী জোট দানা বাঁধার চেষ্টা করছে। যদিও সংসদের অধিবেশনে সেই জোটের চেহারা প্রায় ছন্নছাড়া। তৃণমূল কংগ্রেস একেবারে স্বতন্ত্র ভাবে কেন্দ্রের বিরোধিতা করছে। দিল্লি সফরে গিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সোনিয়া গান্ধির কোনও কথা হয়নি। মমতা নিজে বলেছেন, তিনি কংগ্রেসের কাজে ব্যক্তিগত ভাবে বিরক্ত। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোরের এই মন্তব্য অনেক জল্পনাকে উসকে দিয়েছে।
আরও পড়ুন-উপস্থিত রাহুল, কংগ্রেসের পাশে বসেই গান্ধি মূর্তির তলায় বিক্ষোভে তৃণমূল
প্রশান্ত কিশোর অবশ্য বলেছেন যে, ‘নীতি এবং দলের ওজনের জায়গা থেকে বিরোধী আসনে কংগ্রেসের প্রয়োজন রয়েছে। শক্তিশালী বিরোধী পক্ষ তৈরিতে কংগ্রেসের দরকার আছে।’ কিন্তু কংগ্রেস ভোটে বারবার যে ব্যর্থ তার প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে।