এতদিন পর্যন্ত ‘লো-প্রোফাইল মেইনটেন’ করেই কাজ চালিয়ে গেছেন টুইটারের নতুন সিইও (Twitter CEO) পরাগ অগ্রওয়াল (Parag Agrawal)। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না। গতকাল টুইটারের বিদায়ী সিইও জ্যাক ডরসির বিদায় সংবাদ ও পরাগ অগ্রওয়ালকে দায়িত্বভার দেওয়ার খবরে তোলপাড় হয়েছে নেট দুনিয়া। বলা বাহুল্য সবাইকে চমকে দিয়েছে টুইটারের নতুন সিইও হিসেবে পরাগ অগ্রওয়ালের নাম ও তাঁর ইন্ডিয়ান কানেকশন। টেক জায়েন্ট মাইক্রোসফ্টের সত্যা নাডেলা, গুগলের সুন্দর পিচাইয়ের পর এবার পরাগ অগ্রওয়ালের এই উত্থানে অভিভুত সবাই। একের পর এক ভারতীয়দর এহেন সাফল্যে রীতিমতো উচ্ছসিত অন্যান্য অনেকের মধ্যেই বিশেষ নজর কেড়েছে ইলন মাস্ক(Elon Musk) ও আনন্দ মাহিন্দ্রার (Ananda Mahindra) টুইট বার্তা।
USA benefits greatly from Indian talent!
— Elon Musk (@elonmusk) November 29, 2021
This is one pandemic that we are happy & proud to say originated in India. It’s the Indian CEO Virus… No vaccine against it. ? https://t.co/Dl28r7nu0u
— anand mahindra (@anandmahindra) November 29, 2021
আর এই সবের মধ্যেই ৯০তম গ্লোবাল টপ ব্র্যান্ড টুইটারের পর্দার পিছনে থাকা মানুষটি হয়ে উঠলেন ট্রেনডিং। কে এই পরাগ অগ্রওয়াল? কীভাবে তাঁর এই উত্থান? এখন লাখ টাকার প্রশ্ন এটাই।
Deep gratitude for @jack and our entire team, and so much excitement for the future. Here’s the note I sent to the company. Thank you all for your trust and support ? https://t.co/eNatG1dqH6 pic.twitter.com/liJmTbpYs1
— Parag Agrawal (@paraga) November 29, 2021
টুইটার ও পরাগ অগ্রওয়াল
টুইটারের সঙ্গে পরাগ অগ্রওয়ালের পথ চলা এক দশকের। ২০১১ সালে, সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার (distinguished software engineer) হিসেবে বিশেষ পদ মর্যাদায় টুইটারে(Twitter) যোগ দেন। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। এপর ২০১৭ সালে সংস্থার চিফ টেকনিক্যাল অফিসার পদে তাঁর পদোন্নতি হয়। এই পদে থেকে টুইটার সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও সংস্থার সঞ্চালনায় গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত তার উল্লেখ্যযোগ্য ভুমিকার কথা উঠে এসেছে টুইটারের বিদায়ী সিইও ও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি র টুইটে(Jack Dorsey)।
not sure anyone has heard but,
I resigned from Twitter pic.twitter.com/G5tUkSSxkl
— jack⚡️ (@jack) November 29, 2021
টুইটারের CTO (চিফ টেকনিক্যাল অফিসার) পদে থাকাকালিন, সংস্থার টেকনিক্যাল স্ট্রাটেজি ও কনজিমার, রেভিনিউ এবং সায়েন্স টিমের মেশিন লার্নিং ও আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ের নেতৃত্ব দেন তিনি।
টুইটারের আগে, পরাগ অগ্রওয়াল মাইক্রোসফ্ট(Microsoft) , ইয়াহু(Yahoo) ও এটি অ্যান্ড টি ল্যাবসেও(AT & T Labs ) কর্মরত ছিলেন।
টুইটারের নতুন সিইও পরাগ অগরওয়াল(Parag Agrawal) আই আই টি বম্বের(IIT Bombay) ছাত্র। ২০০৫ সালে আই আইটি বম্বে থেকে কমপিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (Computer Science and Engineering) বি টেক (B Tech) ডিগ্রি পান। এরপর স্ট্যানফর্ড ইউনিভার্সিটি (Stanford University) থেকে পিএইচডি(PHD) করেন।
Congratulations to our alumnus Dr. Parag Agrawal for being appointed the new CEO of Twitter. Dr. Agrawal obtained his https://t.co/KI2VMHsUbi. degree in Computer Science and Engineering from IIT Bombay in 2005. He started working at Twitter in 2011 & became the CTO in 2017.#iitb pic.twitter.com/A0yt37pfUR
— IIT Bombay (@iitbombay) November 30, 2021
People.AI অনুযায়ী বর্তমানে পরাগ অগরওয়াল ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পত্তির মালিক।
একদিকে যেমন শুভেচ্ছা বার্তায় উপচে পড়েছে টুইটার অন্যাদিকে তেমনি মিমের বন্যায় বানভাসী এই মাইক্রো ব্লগিং সাইট।
পরাগ অগ্রওয়াল ও টুইট বিতর্ক (Parag Agrawal and tweet controversy)
এদিকে টুইটারের দায়িত্বভার নিতে না নিতেই ১০ বছর আগে পরাগের একটি টুইট নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ২০১১-য় মুসলমানদের নিয়ে একটি টুইট করেন পরাগ অগ্রওয়াল। তাঁর এই টুইট ঘিরে পক্ষপাতিত্বের গন্ধ পাচ্ছেন নিনদুকেরা। কারণ টুইটটি তাঁর নিজের কথা নয়, বরং ডেইলি শো নামক একটি টক শোতে সাংবাদিক আসিফ মান্ডভি তাঁর এই বক্তব্য রাখেন। এই বক্তব্যটি টুইট করেছিলেন পরাগ অগ্রওয়াল।
“If they are not gonna make a distinction between muslims and extremists, then why should I distinguish between white people and racists.”
— Parag Agrawal (@paraga) October 26, 2010
তবে এই ধরনের বিতর্কে পরাগ অগ্রওয়ালের পথের কাঁটা হয়ে আকছার আসবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। একদিকে ডোন্যাল্ড ট্রাম্প ব্যান(twitter ban on Donald Trump) বিতর্ক সহ অন্যান্য রাজনৈতিক বিষয়ে (political issues) টুইটারের অবস্থান, টুইটারের টালমাটাল আর্থিক অবস্থা ও অন্যদিকে এই সবের মধ্যেই সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরুদায়িত্ব এখন তাঁর কাঁধে।
এখন দেখার, সব রকম বাধা বিতর্ক এড়িয়ে বছর ৩৭-র পরাগ অগ্রওয়াল S&P 500 index-এর কনিষ্ঠতম সিইও, টুইটারের শীর্ষ কর্তা হিসেবে কতটা সফল হন।