বসিরহাট: দীর্ঘ প্রায় দু’বছর পর স্কুল খোলায় সুন্দরবনের (Sundarban School Students) প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে উপস্থিতির হার অনেকটাই কমেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলমুখী করতে কখনও ছুটে যেতে হচ্ছে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের, আবার কখনও কলেজ অধ্যক্ষকে। এবার বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বাড়াতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন প্রাক্তন সেনাকর্মীরা (Ex-serviceman)।
বসিরহাটের (Basirhat) হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের স্যান্ডেল বিল গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। সাহেবখালি, দুলদুলি, ১৩ নম্বর স্যান্ডেল বিল আমবেড়িয়া সহ বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে উদ্যোগ নিয়েছেন প্রাক্তন সেনা কর্মীরা। একদিকে যেমন পড়ুয়াদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বোঝাচ্ছেন। অন্যদিকে বই, খাতা, পেন্সিল, নতুন পোশাক, খাবার ওষুধ নিজেদের জমানো টাকায় কিনে দিচ্ছেন। পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে অভিভাবকদেরও বোঝানোর কাজ করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : দিদার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে সব শেষ হয়ে গেল, মাকে হারিয়ে শোকাতুর মেয়ে
প্রাক্তন সেনা কর্মী মধুসূদন গাইন, মানস গাইন সহ আটজন সেনা কর্মী এই কাজে যুক্ত হয়েছেন। তাঁদের জমানো টাকা দিয়ে এই কাজ করে যাচ্ছেন। উদ্যোক্তা মহাবীর বর্মন বলেন, ইয়াস পরবর্তী সুন্দরবনের বিভিন্ন ব্লকের হাই স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার কমেছে। অন্যদিকে বহু জায়গায় নোনা জল ঢুকে পানীয় জলের সমস্যার জন্য পেটের নানা রোগ হয়েছে। প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারাচ্ছে। যার জন্য ম্যানগ্রোভ চারা লাগানো হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। জল বাহিত রোগের যে প্রকোপ দেখা যাচ্ছে, তার জন্য মেডিকেল ক্যাম্প করে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুন্দরবনকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনতে সব রকম প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।