সিউড়ি: দেউচা পাচামী কয়লা শিল্প এলাকা রাজ্যের প্রতিনিধি দল। বীরভূমের দেউচা পাচামী কয়লা ব্লক প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সংশয় রয়েছে এলাকার আদিবাসীদের। রবিবার সেই সংশয় দূর করতে স্থানীয় বাসিন্দা ও মাঝিদের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্য সরকার গঠিত এই কমিটির সদস্যরা। এলাকা পরিদর্শন ছাড়াও এদিন জেলাশাসকের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা।
দেউচা-পাঁচামি হল বীরভূমের মহম্মদবাজার হরিণ সিং কোল ব্লক । ৩৪০০ একর জমি নিয়ে ১১৭৮ মিলিয়ন হেক্টর কয়লা । ১১৪৮ মিলিয়ন হেক্টর ব্যাসল্ট জমা রয়েছে । এই যে ৩৪০০ একরের মধ্যে এক হাজার একর সরকারি জমি । মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারি জমিতে আগে কাজ শুরু হবে । তারপর ধাপে ধাপে অন্যান্য জায়গায় জমি নেওয়া হবে ।
এরপরেই দেউচা-পাঁচামি প্রকল্পের জমি নেওয়ার জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। যে প্যাকেজ জমি, বাড়ি, গাছ, পশুখামার বা গোয়াল ঘর, শস্য সবকিছুর জন্যই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ এমনকী দেউচা-পাঁচামি খোলামুখ কয়লা খনি প্রকল্প নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়। জমি কেনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে শ্বেতপত্রটি তিনটি ভাষায় প্রকাশিত করা হয়।
আরও পড়ুন – কী রয়েছে ছোটো দোকানদার, খেতমজুরদের জন্য দেউচা-পাঁচামির ক্ষতিপূরণ প্যাকেজে? এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট
তবে, দেউচা পাচামীর জমি অধিগ্রহণ নিয়ে রাজ্য সরকার যে প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তাতে অসন্তুষ্ট আদিবাসীদের একাংশ। সেই কারণে দেউচা পাচামী এলাকার এই কয়লা শিল্পের প্যাকেজ ঘোষনার পরই রাজ্য সরকার ৯জনের একটি কমিটি গঠন করে। যে কমিটি ওই এলাকা ঘুরে রিপোর্ট দেবে সরকারকে।
রবিবার কমিটির ৩ জন সদস্য ডেউচা পাচামী এলাকার হরিণশিঙা গ্রামে যান। পরিদর্শনের পর এই কমিটির সদস্য তন্ময় ঘোষ জানান, তারা এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন,মাঝি হারামদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। অধিকাংশ মানুষের মনোভাব প্রকল্পের পক্ষে। এছাড়াও এদিন সিউড়িতে জেলাশাসকের দফতরে জেলাশাসক বিধান রায়ের সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনা করেন কমিটির সদস্য তন্ময় ঘোষ ও, সায়ন্তন ব্যানার্জি।