হাওড়া : ২৬ সেকেন্ড ।
ফাঁকা শ্রেণিকক্ষ । বাজছে জনপ্রিয় গান থমকিয়া থমকিয়া… । কোমর দোলাচ্ছে তিন ছাত্রী । স্কুলের পোশাক পরে ৷
এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ৷ নড়চড়ে বসেছে হাওড়া সালকিয়া কেদারনাথ বাবুলাল রাজগড়িয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷ ডেকে পাঠানো হয়েছে ওই তিন পড়ুয়ার বাড়ির লোকজনকে ৷ ভিডিও ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক মন্তব্য উড়ে এসেছে ৷ অনেকেই পড়ুয়া এবং তাদের বাড়ির লোক জনকে কটাক্ষ করেছেন ৷ দু-এক জন অবশ্য বিষয়টি নিয়ে সরাসরি পড়ুয়াদের দিকে আঙুল তুলতে নারাজ ৷
করোনা-লকডাউন কাটিয়ে স্কুল খুলেছে ৷ অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুল খুললেও কেদারনাথ বাবুলাল রাজগড়িয়ার ওই স্কুলে ক্লাস হচ্ছে না ৷ তাই, পড়ুয়ারা ক্লাস ঘরের মধ্যেই নাচের ভিডিও শ্যুট করছে মোবাইলে ৷ প্রশ্ন উঠেছে, কী ভাবে স্কুলের মধ্যে মোবাইল ? পড়ুয়ারা কেনও স্কুলে মোবাইল নিয়ে আসছে, ক্লাস হচ্ছে না কেন ? শিক্ষিকারা কী করছেন ?
অনেকে আবার অভিভাবকদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ৷ তাঁদের মতে, অভিভাবকরা সচেতন না হলে স্কুলের শিক্ষিকাদের পক্ষে সব দেখা সম্ভব নয় ৷ এত দিন পড়ুয়ারা বাড়িতে ছিল । বাবা-মায়েদের কাছেই ছিল তারা ৷ স্বাভাবিক ভাবেই ছেলেমেয়েদের দিকে তাদের আরও বেশি করে নজর দেওয়ার দরকার ছিল, মত অভিভাবকদের একাংশের ।
ঘটনার বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৈত্রেয়ী সিনহা বলেন, “এটা স্কুলের অভ্যন্তরীণ বিষয় ৷ কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া যাবে না ৷” মেয়েরা পকেটে লুকিয়ে মোবাইল নিয়ে আসছে ৷ তাই এটা আটকানো মুশকিল, দাবি প্রধান শিক্ষিকার ৷ পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ওই ছাত্রীদের অভিভাবকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে ৷
শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার এ প্রসঙ্গে বলেন, এমন ঘটনা কোনও ভাবেই কাম্য নয় । স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবক-পড়ুয়া সকলকেই অনেক বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত । এমনিতেই পড়ুয়ারা অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে । এখন সামান্যতম গা-ছাড়া ভাবও সমস্যা ডেকে আনতে পারে ।