সদ্যই মুক্তি পেয়েছে ‘বব বিশ্বাস’-এর ট্রেলার। ট্রেলারে পুরনো ‘বব বিশ্বাস’ শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের দেখা না পেয়ে বাঙালির একটু মন খারাপ হলেও নতুন ‘বব বিশ্বাস’ও নিরাশ করেননি। অভিষেক বচ্চনকে ‘বব বিশ্বাস’ রূপে দেখে মুগ্ধ হয়েছেন খোদ অভিতাভ বচ্চন। মুগ্ধ হয়েছেন দর্শকরাও। সদ্যই ‘বব বিশ্বাস’ নিয়ে মুখ খুললেন জুনিয়র বচ্চন।
দিয়া অন্নপূর্ণার ছবির ‘বব বিশ্বাস’ হয়ে উঠতে ওজন বাড়াতে হয়েছিল অভিষেককে। সেই সময় ১০০ থেকে ১০৫ কেজি ওজন ছিল তাঁর। যদিও প্রস্থেটিক মেকাআপেও পর্দার ‘বব বিশ্বাস’ হয়ে ওঠা যেতো তবু, কৃত্রিমতায় বিশ্বাস করতে পারেননি অভিষেক। নিজের ওজনই বাড়িয়েছিলেন তিনি। এমনকি চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার সময়ে নিজের মতো ইনপুট দিয়েছিলেন অভিষেক। স্মৃতি হারিয়ে ফেলা এক সিরিয়াল কিলারের জীবনে ঠিক কী কী চ্যালেঞ্জ আসতে পারে তা নিজে থেকে বুঝে নিয়ে চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলেছিলেন জুনিয়র বচ্চন।
যদিও এতটা ওজন বাড়ানোর সময়ে রীতিমতো কষ্ট হয়েছিল অভিষেকের। দুর্ভাগ্যক্রমে ‘বব বিশ্বাস’-এর শ্যুটিং চলাকালীনই শুরু হয়ে যায় লকডাউন। দিন কুড়ির শ্যুটিং বাকি থাকা অবস্থায় শ্যুটিং থেকে বিরতি নিতে হয়। সেই সময় ওই বাড়তি ওজন নিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে যান অভিষেক। বাড়িতেই বাড়তি ওজন নিয়ে থাকছিলেন তিনি। বাকি থাকা শ্যুটিংটুকু সারার পর ফের ওজন কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন জুনিয়র বচ্চন।
অবশ্য ‘বব বিশ্বাস’-এর ক্ষেত্রেই প্রথম নয়, এর আগে ‘বিগ বুল’-এর সময়েই ওজন বাড়িয়েছিলেন অভিষেক। তবে তা ছিল সামান্য।ট্রেলারে ‘বব বিশ্বাসে’র গোলাকার মুখ, ফোলা গাল সবটাই বজায় রাখা অভিষেকের ক্ষেত্রে মারাত্মক চাপের ছিল, তবে অভিষেক মনে করেন, আজকের দর্শক রিয়েলিস্টিক অভিনয় দেখতে চান। তা করতে চাইলে প্রস্থেটিকের শরণাপন্ন হওয়া একেবারেই সম্ভব নয়। রিয়েল লাইফে ওজন বাড়ানোর চ্যালেঞ্জটা তাই নিয়েই ফেলেছিলেন জুনিয়র বচ্চন। ট্রেলার লঞ্চের পর দর্শকের প্রশংসাই বুঝিয়ে দিয়েছে অভির পদক্ষেপে ভুল ছিল না।