দুবরাজপুর: তৃণমূলের (TMC Clash) দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত বীরভূমের দুবরাজপুর(Dubrajpur)৷ গুলি, বোমাবাজিতে পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাড়াগ্রামে কমপক্ষে ৬জন গুরুতর জখম৷ তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিস বাহিনী৷ নতুন করে অশান্তি এড়াতে পুলিস পিকেটিং বসানো হয়েছে৷ চলছে তল্লাশি অভিযান৷ ব্লক অফিস থেকে আবাস যোজনার সার্ভেকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দুই গোষ্ঠীর পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে৷ গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব মানতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব৷
বাঁশ-লাঠি নিয়ে হামলা। নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন ব্লক অফিসের প্রতিনিধিরা পদুমা অঞ্চলে বাংলা আবাস যোজনার সার্ভে করতে আসেন৷ অঞ্চল সভাপতি মুকুল মণ্ডল ঘনিষ্ঠ গাড়াগ্রামের বুথ সভাপতি গফ্ফর খানের এলাকায় সার্ভে শুরু হয়৷ তখন পদুমা অঞ্চলের কার্যকরি সভাপতি তরুণ গড়াইয়ের লোকজন এসে নিজেদের এলাকায় আগে সার্ভের দাবি জানায়৷ যা নিয়ে দুই পক্ষের প্রাথমিক বচসা থেকে বাঁশ,লাঠি নিয়ে হামলা শুরু হয়৷ মহিলাদেরও বাঁশ, লাঠি নিয়ে তেড়ে আসতে দেখা যায়৷ বেশ কিছুক্ষণ এ রকম চলার পর বোমা ও গুলির শব্দ শুনতে পাওয়া যায়৷
বোমা মারার পরের মুহূর্ত। নিজস্ব চিত্র।
দেখা যায়, মুকুল ঘনিষ্ঠা যারাফাত খান, আসরাফুল খান, আলাম খান, ইদমহম্মদ খান, গোলাপ খান, ফারুক খান বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন৷ তাঁদের উদ্ধার করে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ কিন্তু, যারাফাত খান ও আসরাফুল খানের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷
আরও পড়ুন-বিজেপিকে হারানোর ক্ষমতা নেই সিপিএমের, ত্রিপুরায় দাবি অভিষেকের
এ দিকে তল্লাশি অভিযানে খবর লেখা পর্যন্ত ৫ জন আটক করেছে বীরভূম পুলিস৷ ধৃতদের মধ্যে ৩ জন অঞ্চল সভাপতি মুকুল মণ্ডল ঘনিষ্ঠ৷ বাকি দু’জন তরুণ গড়াই গোষ্ঠীর৷ পুলিস সূত্রের দাবি, গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে৷
তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ফুটবল খেলার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি ও গুলি চলেছে। উভয় পক্ষই তৃণমূল সমর্থক। এটা তৃণমূলের কোন ব্যাপার নয়।