নয়াদিল্লি: অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগে মামলা দায়ের হল থানায়৷ শনিবার দিল্লির পার্লামেন্ট স্ট্রিট পুলিশ স্টেশনে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন যুব কংগ্রেসের জাতীয় সম্পাদক অমরীশ রঞ্জন পান্ডে এবং অম্বুজ দীক্ষিত৷ কেন্দ্রের কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে কঙ্গনার মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন দিল্লি শিখ গুরুদ্বারা ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং শিরোমণি অকালি দলের নেতা মনজিন্দর সিং সিং সিরসা৷ তাঁর মতে, পদ্মজয়ী অভিনেত্রীর মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন৷
আরও পড়ুন: মৃত কৃষকদের ১ কোটি করে ক্ষতিপূরণ দিন, মোদিকে চিঠি বরুণ গান্ধীর
শুক্রবার কেন্দ্রের বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরই আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি কঙ্গনা৷ শুরু থেকেই তিনি ছিলেন কৃষক আন্দোলনের প্রবল সমালোচক৷ তাই সম্ভবত তাঁর মনে হয়, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত কৃষকদের কাছে আত্মসমপর্ণ, হেরে যাওয়া৷ তাই সোশাল মিডিয়ায় নরেন্দ্র মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘দুঃখজনক, লজ্জাজনক এবং এক্কেবারে অনুচিত’ বলে অভিহিত করেন৷ বলেন, সংসদে নির্বাচিত সরকারের বদলে রাস্তার আন্দোলনকারীরা যদি আইন তৈরির ক্ষমতা হাতে পেয়ে যান তাহলে গোটা দেশকে জেহাদি বলা হবে৷ একে যাঁরা সমর্থন করছেন তাঁদের অভিনন্দন৷ এর পাশাপাশি দেশে তিনি একনায়কতন্ত্র জারির পক্ষেই সওয়াল করেন৷
আরও পড়ুন: কৃষ্ণের ভাঙা হাত জুড়ে দিন, পুরোহিতের অনুরোধে হতভম্ব ডাক্তাররা
কঙ্গনার ওই মন্তব্য সোশাল মিডিয়ায় আবার বিতর্কের ঝড় ওঠে৷ শনিবার তাঁর বিরুদ্ধে থানায় জমা পড়ে দেশদ্রোহের অভিযোগ৷ ভারতীয় যুব কংগ্রেসের জাতীয় সম্পাদক অমরীশ রঞ্জন পাণ্ডে বলেন, কঙ্গনা রানাউতের ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ারের সংখ্যা ৭৮ লক্ষ৷ সেখানে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এবং দেশদ্রোহমূলক যে পোস্ট তিনি করেছেন তাতে প্রজাতন্ত্র ভারতের প্রতি ঘৃণা, অবমাননা এবং অসন্তোষ প্রকাশ পায়৷ কঙ্গনাতে পাল্টা কটাক্ষ করেছে শিরোমণি অকালি দলের নেতা মনজিন্দর সিং৷ তিনি বলেন, কঙ্গনার হয় জেলে নয়তো মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন৷ তাঁর ঘৃণাভরা পোস্টের জন্য আমরা কঙ্গনার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি সরকারের কাছে৷