সুস্থ থাকতে বাড়িতে তৈরি পুষ্টিকর খাবার খেলেই হবে না সচেতন থাকতে হবে রান্নাঘরের খাদ্যদ্রব্যের গুনগত মান নিয়েও। সে যতই আপনি আপানার নামী ব্র্যন্ডের থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনুন না কেন সেই দ্রব্যটি তৈরি হতে কোথায়, কখন, কীভাবে তাতে ভেজাল মিশেছে তা বোঝা মুশকিল। চালে, ডালে কাঁকড় থাকলে তাও বেছে ফেলে দেওয়া যায় কিন্তু মশলার গুড়ো কিংবা নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য রান্নার উপকরণের মধ্যে কীভাবে ক্ষতিকারক রাসায়নিক মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে তা পরখ না করলে বোঝা মুশকিল। আর এই সব ক্ষতিকারক রাসায়নিকের অধিকাংশই দীর্ঘসময় ধরে পেটে গেলে কার্সিনোজেনিক প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরে। ফলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্যানসারের মত মারণ রোগ।
এই যেমন ধরুন চিনি। ভ্যাজালের সমস্যা থেকে মুক্ত নয় নিত্য প্রয়োজনীয় এই উপকরণও। দোকান থেকে দেখে ধবে ধবে পরিষ্কার চিনি কিনে আনলেও ভেজাল থাকতে পারে তাতেও। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যানডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই চিনিতে ইউরিয়া কিংবা আর্টিফিসিয়াল সুইটনার মেশানো হয়। তাই আপনার কেনা চিনি ভেজালমুক্ত কিনা তা যাচাই করার সহজ উপয়া বলে দিয়েছে এফএসএসএআই। সংস্থার টুইটার অ্যাকাউন্টে এই নিয়ে একটি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে।
View this post on Instagram
প্রথমে এক চামচ চিনি এক গ্লাস জলে গুলে নিন।
চিনি জলে পুরোপুরি গুলে গেলে শুঁকে দেখুন অ্যামোনিয়ার গন্ধ পাচ্ছেন কিনা। গন্ধ না পেলে আপনার চিনিতে যে ইউরিয়া নেই সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবেন।
তবে যদি গন্ধ পান তাহলে বুঝতে হবে চিনিতে ভেজাল রয়েছে। অ্যামোনিয়া এমনিতে রঙ হীন গ্যাস, নাইট্রোজেন ও হায়ড্রোজেন মিশে এটা তৈরি হয়। তবে এর গন্ধ খুব জোড়ালো। অনেকটা ঘাম ও মুত্রের গন্ধের মত হয়। আর ইউরিয়াতে অ্যামোনিয়া থাকে । তাই দীর্ঘদিন ইউরিয়া যুক্ত খাবার খেলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ট্র্যাক্টে সমস্যা হতে পারে। বমি, ডায়রিয়া সহ একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে।