নয়াদিল্লি: কৃষকদের টানা আন্দোলনের জেরে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিতর্কিত ৩ কৃষি আইন বাতিল করছে কেন্দ্র। মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও কৃষক নেতারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সংসদে আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। কৃষকদের অন্য দাবিগুলি মেটানোর কথাও বলেছেন তাঁরা। নয়াদিল্লির সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসের তরফেও একই দাবি তোলা হল।
কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, কেন্দ্র কৃষি আইন বাতিলের কথা ঘোষণা করলেও অনেকগুলি প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ফসলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কৃষকরা পাবেন কি না, তা বলা হয়নি। কেন্দ্র ঘোষণা করেছিল, ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুন করা হবে। এখন পর্যন্ত তা হয়নি। কৃষকদের আর্থিক অবস্থা বরং আরও খারাপ হয়েছে। সরকারের দ্বিগুন আয়ের এই ঘোষণা আদৌ বাস্তবায়িত হবে তো?
আরও পড়ুন: কৃষকদের চাপের কাছে নতি স্বীকার কেন্দ্রের, অবশেষে ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহার করলেন মোদি
জিএসটি ইস্যুতেও বিজেপিকে একহাত নেন রণদীপ। তিনি বলেন, কৃষকদের পাশে থাকার বদলে কেন্দ্রীয় সরকার ক্রমাগত কৃষি বিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কৃষকদের সঙ্গে যুক্ত একাধিক জিনিসে জিএসটি বসিয়েছে কেন্দ্র। কীটনাশকে ১৮ শতাংশ এবং ট্রাক্টরে ১২ শতাংশ জিএসটি চাপিয়েছে মোদি সরকার। কৃষকদের উপর কেন্দ্রে এই শোষণ কবে বন্ধ হবে তা জানতে চান রণদীপ সুরজেওয়ালা।
শুক্রবার গুরু নানক জয়ন্তীর সকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা জানান। তিনি বলেন, কৃষকদের অসুবিধা কাছ থেকে দেখেছি। দেশবাসীরা যখন আমায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দেন, তখন আমরা কৃষি বিকাশ ও কৃষক কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। দেশের ছোট কৃষকদের কথা ভেবে এই তিন আইন আনা হয়েছিল। কিন্তু আমরা কৃষকদের তা বোঝাতে পারিনি।