সদ্য বিয়ে হয়েছে তাঁদের। বিয়ের তিনদিনের মধ্যেই রাজকুমার রাও ফিরে গিয়েছেন লখনৌতে শুটিং ফ্লোরে। তেমনই কথা হয়েছিল পরিচালক অনুভব সিনহার সাথে। নববধূ বাঙালি কন্যা পত্রলেখা পাল এখন দিন গুনছেন কবে তাঁরা হানিমুনে যাবেন। রাজকুমারের এই পর্যায়ে শুটিং শেষ হলে তবে যারা হনিমুন যেতে পারবেন। তেমনি কথা আছে। পেশায় অভিনেত্রী পত্রলেখার শিলংয়ের বাঙালি পরিবারে জন্ম। বাবার ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়েই অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন পত্রলেখা। গত সোমবার চণ্ডীগড়ের বিলাসবহুল বিলাতে বসেছিল রাজকুমার- পত্রলেখা বিয়ের আসর। দীর্ঘ ১১ বছর সম্পর্কে থাকার পর তোদের বিবাহ সম্পন্ন হল। বিয়ের দিনে নজর কেড়েছিল ডিজাইনার সব্যসাচীর তৈরি পত্রলেখার ওড়না। যাতে বাংলা হরফে লেখার ছিল ‘হৃদয় ভরা ভালোবাসা’ রাজকুমারের কাছে সমর্পণের কথা।
পত্র লেখার বাবা পেশায় চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। আরও দুই ভাইবোন রয়েছে তার। পাহাড়ি মেয়ে পত্র লেখার স্কুল জীবন কেটেছে অসমে। সেখান থেকে চলে গিয়েছিলেন বাঙ্গালুরু। সেখানেই স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন এইচআর কলেজ অফ কমার্স অন্ড ইকনোমিকস থেকে। বাবার ইচ্ছে ছিল মেয়ে তার নিজের পেশা অনুসরণ করুক। কিন্তু মেয়ের ইচ্ছে ছিল একেবারেই অন্যরকম। তাই সে বিজ্ঞাপন জগতে কাজ শুরু করে। সেই রকম এক বিজ্ঞাপনেই প্রথম দেখতে পান তাকে রাজকুমার। তখনো তিনি আজকের রাজকুমার হয়ে ওঠেন নি। প্রথম দেখাতেই রাজকুমার পত্রলেখার প্রেমে পড়ে যায়। পত্র লেখার ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য ছবি ছিল ‘সিটি লাইটস’। যেখানে তিনি রাজকুমারের বিপরীতে কাজ করেছিলেন। দর্শকরা সাদরে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন অনস্ক্রীন এই জুটিকে। তারপর ১১ বছর পরে চার হাত এক হল। পত্রলেখার শিলংয়ের বাড়িতে প্রায় ৮ টি পোষ্য রয়েছে। ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যে তিনি যথেষ্ট পারদর্শী ও বটে। সদ্য বিয়ের পর পত্রলেখা এখন একটু একা, পথ চেয়ে বসে আছেন কবে ফিরবেন রাজকুমার শুটিং ফ্লোর থেকে। তারপর বিদেশে চলে যাবেন হনিমুন সারতে।