কলকাতা : এসএসসির মাধ্যমে গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিতে চলেছে আদালত। আবেদনকারীর অভিযোগ অনুযায়ী ২৫ জনের বেনিয়মের অভিযোগ ছিল। বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যা বেড়ে হয় ৫০০। অভিযোগকারীরা নতুন করে আরও ৫০০ জনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়ম করা হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন তদন্তের জন্য অবিলম্বে এই সকল নিয়োগকারীদের নথি সংরক্ষণ এর প্রয়োজন। না হলে ভবিষ্যতে ওই নথি ম্যানুপুলেট হতে পারে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি পদে ২৫ জনের নিয়োগ মামলা নজিরবিহীন দিকে মোড় নিয়েছে৷ হাইকোর্টের নির্দেশ মত সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন আগেই জানিয়েছিল, ২৫ জনকে নিয়োগ করার ব্যাপারে কোনওরকম সুপারিশ পত্র বা রেকমেন্ডশন লেটার তারা দেয়নি৷ কাজেই ওই ২৫ জন ভুয়ো সুপারিশ পত্র দেখিয়েই কাজে নিয়োগ হয়েছেন। আদালত এই ব্যাপারে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ওই ২৫ জনের নাম ও ঠিকানার তালিকা কমিশনকে জমা দিতে বলেছে৷
বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এসএসসির পক্ষ থেকে জমা দেওয়া হয় হলফনামা। প্রথম জমা পড়া হলফনামায় খুশি হতে পারেনি আদালত। তাই ফের আধঘণ্টার মধ্যে পুনরায় হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। দ্বিতীয় হলফনামাটি এসএসসির পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান স্বীকার করেছেন এই ঘটনার জন্য ভবিষ্যতে যদি তাদের কোনো গাফিলতি ধরা পড়ে তাহলে তার দায়ভার তারাই নেবেন। কারণ এসএসসির পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা কোনো রেকমেন্ডেশন নিয়োগ পত্র ইস্যু করেননি।
আরও পড়ুন – মমতার ধমক খেয়ে ‘ইগো’ ভুলে তড়িঘড়ি চিংড়িহাটা দৌড়লেন পুলিশ কর্তারা
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ দিয়েছেন
আগামী সোমবারের পর কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় যে তদন্তের নির্দেশ দিতে চলেছে তা এ দিনের রায় ও মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার। কারণ কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে বড় ধরনের দুর্নীতি হয়েছে তা আদালতের নজরে এসেছে। এখন দেখার কলকাতা হাইকোর্ট এই তদন্ত কোন হাই পাওয়ার কমিটি, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সিবিআই না কোন অন্য তদন্তকারী সংস্থার মাধ্যম করান।
নিয়োগ নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে কেন? এই বিষয়ে ব্রাত্য বসু কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘পুরো বিষয়টি ২০১৬ সালের এবং সেই সময় আমি দায়িত্বে ছিলাম না পুরো বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার দরকার আছে। কিন্তু কমিশনকে আমরা বলেছি আদালত যা তথ্য চাইছে আপনারা স্বচ্ছভাবে দিন।’ এছাড়াও এদিন বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু জানান, ‘নিশ্চয়ই কিছু সমস্যা ছিল বা আছে কিন্তু অতীতে কী হয়েছে সেই ভেবে লাভ নেই আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মসংস্থান করতে হবে সেটা যোগ্যতা এবং স্বচ্ছতার ভিত্তিতে করতে হবে তার জন্য কোনো পরিবর্তন আনতে হয় আদালত বলুক আমাদের যে নির্দেশ দেবেন সেই নির্দেশ মেনে আমরা কাজ করব।’