কলকাতা: বেলেঘাটা-চিংড়িহাটা মোড়ে কেন বারবার দুর্ঘটনা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে জানতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন, বারবার এই দুর্ঘটনার কারণে তিনি অত্যন্ত বিরক্ত৷ বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এবং কলকাতা পুলিশের মধ্যে যে এব্যাপারে কোনও সমন্বয় নেই তা মুখ্যমন্ত্রীর কথাতে পরিস্কার৷ দুর্ঘটনা ঘটলেই কার এলাকার মধ্যে হয়েছে তা নিয়ে দুই পুলিশের মধ্যে বরাবরই দ্বন্দ্ব থেকে গিয়েছে৷ তাই দুর্ঘটনা এড়ানো নিয়ে বারবার প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও গাফিলতির যথেষ্ট প্রমাণ রয়ে গিয়েছে৷ যার জেরেই বেলেঘাটা-চিংড়িহাটা মোড়ে গত ১৬ নভেম্বর একটি দুর্ঘটনা হয়৷
গত মঙ্গলবার ট্রাকের ধাক্কায় চিংড়িহাটায় প্রাণ হারান ২৬ বছর বয়সী এক বাইক আরোহী৷ বাইকটি সেক্টর ফাইভের দিকে যাচ্ছিল৷ সেই সময়ই চিংড়িহাটার কাছে নির্মীয়মাণ মেট্রো স্টেশনের নীচে সঙ্কীর্ণ রাস্তাটি দিয়ে একটি ট্রাক আসছিল। আচমকাই ট্রাকটি ওই বাইকে সজোরে ধাক্কা মারে। বাইকটি চালাচ্ছিলেন সাগর পাল নামে এক যুবক। ট্রাকের ধাক্কায় প্রায় ৫০ মিটার দূরে ছিটকে পড়েন তিনি৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ৷ ওই যুবককে বিধাননগর হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ কিন্তু চিকিৎসা শুরুর আগেই মৃত্যু হয় সাগরের৷
আরও পড়ুন: বিধানসভায় ভোটাভুটিতে অংশ নেওয়া বিধায়কের দায়িত্ব, অদিতিকে পরিষদীয় পাঠ শেখালেন মমতা
এর আগেও একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে চিংড়িহাটায়৷ দুর্গাপুজোর সময় চতুর্থীর দিন বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এক যুগল৷ ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় যুবকের মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল৷ এর পর ভাইফোঁটার দিনও চিংড়িহাটা ক্রসিংয়ে আবার দুর্ঘটনা ঘটে৷ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ছয় পথচারীর গায়ের উপর দিয়ে চলে যায় একটি চার চাকা৷ বার বার একই জায়গায় এত দুর্ঘটনার খবরে মুখ্যমন্ত্রী যে উদ্বিগ্ন তা বোঝা গেল এদিন৷ রীতিমত বিরক্তি প্রকাশ করে ইএম বাইপাসের অন্যতম গুরুত্বতম মোড়ে দুর্ঘটনা এড়াতে বিধাননগর এবং কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বলেন, দ্বন্দ্ব মেটাতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুন৷ আর একটাও প্রাণহানি চাই না৷