সোমবার চণ্ডীগড়ের বিলাসবহুল রিসর্টে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন পত্রলেখা পাল – রাজকুমার রাও। এগারো বছরের প্রেম-ভালবাসা-বন্ধুত্ব পরিণতি পেল দাম্পত্যে। পত্রলেখার স্বামী হিসেবে নিজের নতুন পরিচিতি পেয়ে বলিউড অভিনেতা রাজকুমার যে ঠিক কতোটা আপ্লুত তা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে চোখ রাখলেই বোঝা যাচ্ছে। বিয়ের আসরে রাজকুমার-পত্রলেখার হাসি হাসি মুখ, সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজকুমারের ইমোশনাল পোস্টই বলে দিচ্ছে – দে আর মেড ফর ইচ আদার!
নতুন কনে পত্রলেখা বাঙালি মেয়ে। তাই বিয়ের আসরে সাবেকী বাঙালি সাজেই দেখা মিলেছে তাঁর। বাঙালি ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের ডিজাইন করা লাল লেহঙ্গায় সেজে ছিলেন কনে। মাথায় ছিল লাল ওড়না। ওড়নার পারে জরি দিয়ে লেখা ভালবাসার কথা – ‘আমার পরাণ ভরা ভালোবাসা আমি তোমায় সমর্পণ করিলাম’! স্বাভাবিক ভাবেই বাঙালি মেয়ের বাংলাপ্রীতিতে মুগ্ধ নেটিজেন। বাংলা ভাষা যখন আসতে আসতে প্রায় ভুলতে বসেছে বাঙালিরাও।
হিন্দি আর চোস্ত ইংরেজি বা কখনও কখনও জগাখিচুড়ি ভাষাতেই যে প্রজন্ম বেশি অভ্যস্ত সেখানে বাংলা ভাষায় ভালবাসার কথার প্রকাশ রাজকুমারের প্রতি তো বটেই, বাংলা ভাষার প্রতিও পত্রলেখার প্রেমের গাথাই। শাঁখা- পলা-আলতা, বেলিকুঁড়ির মালার সাজে সুন্দরী পত্রলেখার দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারেননি রাজ- পত্রলেখার আমন্ত্রিত অতিথিরা! রাজের পরনে ছিল সাদা শেরওয়ানি, গোলাপি উত্তরীয়।
বিয়ের আসরে বলিপাড়া থেকে এসেছিলেন ফারহা খান। তবে রাজকুমারের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অভিনন্দনে ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁদের সহকর্মীরা। অভিনন্দন জানিয়েছেন, ভূমি পেড়নেকর, দিয়া মির্জা, অনিল কাপুর, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ারা।