সম্পর্ক, মনের মানুষ, বন্ধুবান্ধব কিংবা সহকর্মী যার সঙ্গে হোক না কেন, প্রত্যেকবার আপনার মনে হয়েছে এই সম্পর্কেগুলোতে আপনি যেন কাঠের পুতুল। যে যেমন চায় আপনাকে তেমন নাচায়। কারণ, প্রথমে বুঝতে পারেননি পরে ভেবে দেখেছেন সম্পর্ক নিয়ে আপনি যত্নবান থাকলেও কোথাও একটা আপনারই ভুল হয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় প্রত্যেকের ওপরেই প্রয়োজনের থেকে বেশি ভরসা করে ফেলেছেন। জীবনের সুখ দুঃখের অনেক গল্প করে ফেলেছেন। বেশি কথা বলে ফেলার জন্য আপনি প্রত্যেকের কাছেই ‘টেকেন ফর গ্র্যান্টেড’ হয়ে গেছেন। কিন্তু তাতেও শিক্ষা হয়নি। তাই বার বার ঠকেছেন। তবে এবার আর নয় ঠিক করেছেন ভুল থেকে শিক্ষা নিতেই হবে। আপনাকে এই কাজে সাহায্যের জন্যে রইল জরুরী কিছু টিপস।
বেশি বিশ্বাস করলেই কষ্ট পেতে হবে
এবার যদি ফের কাওকে বিশ্বাস করে ঠকেন তা হলে অন্যদের দোষারোপ না করে নিজেকেই দূষবেন। কোনটা ব্যক্তিগত আর কোনটা বাকিদের বলা যায় সেটা নিজেকেই ঠিক করতে হবে। যে কোনও সম্পর্কেই একটা পারস্পরিক বিশ্বাসের জায়গা থাকে কিন্তু তাই বলে প্রত্যেকের ওপর অতিরিক্ত বিশ্বাস করা ঠিক নয়। নিজের মনে কথা বা ব্যক্তিগত বিষয় অন্যকে জানালে তা পরবর্তীতে আপনাকে সমস্যায় ফেলতে পারে।
কথায় কথায় বিশ্বাস করে ফেলাও চারিত্রিক ত্রুটি
আপনি ভাল মনের মানুষ তাই আপনার কাছে সকলেই ভাল। আপনি সকলের সঙ্গে এক ভাবে মেশেন এবং মনের কথা ভাগ করে নেন। কিন্তু এর মানে এটা একেবারেই নয় যে সকলে আপনার সঙ্গে একই আবেগ নিয়ে মিশবেন।তাই কাকে কখন কি বলবেন এই বিষয় একটু ভেবে চিন্তা করে বলাই উচিত।
সবাই আপনার বন্ধু হতে পারে না
মনে রাখবেন এত মানুষের ভিড়ে প্রকৃত বন্ধুকে খুঁজে পাওয়া এতটা সহজ নয়। প্রত্যেকের সঙ্গেই আপনার সদব্যবহার থাকতে পারে তবে তার মানে এই নয় যে প্রত্যেকে আপনার বন্ধু। অনেকেই আপনার সঙ্গে স্বার্থ্য নিয়ে মিশবেন কার্যসিদ্ধি হলেই হাওয়া। অনেকে আবার আপনার ব্যক্তিগত কথা জেনে সেটা নিয়ে ঠাট্টা করতে পারে। আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার নিজেদের সুবিধের জন্য ব্যবহার করবেন। আর এই সব কারণে আপনি কষ্ট পাবেন। তাই যে কোনও সম্পর্ককে সময় দিন, দেখুন তা কতদিন চলে, দেখবেন যত সময় যাবে আপনি তত বুঝতে পারবেন কে আপনার প্রকৃত বন্ধু আর কারা সুবিধেবাদির দল।
ছবি সৌজন্য: Pixabay