কলকাতা: দেউচা-পাঁচামি প্রকল্পে জমিদাতাদের জন্য প্যাকেজ চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে৷ মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেই সে ইঙ্গিত মিলেছে৷ তবে সিঙ্গুর আন্দোলনের পর এই অধিগ্রহণ নিয়ে সাবধানে পা ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার৷ তাই আর্থিক ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি জমিদাতাদের চাকরি ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা প্যাকেজে রেখেছে নবান্ন৷ বাদ যাবেন না ছোটো দোকানদার, খেত মজুর এবং বাস্তুচ্যুতরা৷ সূত্রের খবর, প্রত্যেক শ্রেণির মানুষের চাহিদা ও জীবিকার কথা মাথায় রেখে এমনভাবে প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছে যাতে জমিদাতারা সহজেই জমি দিতে রাজি হয়ে যান৷
আরও পড়ুন: পাথর খাদান মালিক এবং ক্রাশারদের জন্য বিশেষ আর্থিক ক্ষতিপূরণ
প্যাকেজে কোন জমিদাতাদের জন্য কতটা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রয়েছে সেটা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি৷ কিন্তু কলকাতা টিভির ডিজিটাল টিমের কাছে এক্সক্লুসিভ যে রিপোর্ট এসেছে তাতে জমি, বাড়ি, গাছ, পশুখামার বা গোয়াল ঘর, শস্য সবকিছুর জন্যই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ওখানে ৩৯ জন ছোটো ব্যবসায়ী আছে৷ জমি অধিগ্রহণের পর তাঁরা কাঠা পিছু ৬৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন৷ অধিগ্রহণের পর দোকান ঘর ভাঙা পড়লে তার ক্ষতিপূরণ হিসেবেও একটা টাকা পাবেন দোকানদাররা৷ তবে সেটা ঠিক করবে সরকার৷ পাশাপাশি নতুন ব্যবসা শুরুর জন্য টাকা পাবেন দোকানদাররা৷ জীবন-জীবিকা চালানোর জন্য পরিবার পিছু মাসিক ১০ হাজার টাকা পাবেন তাঁরা৷ অর্থাৎ বার্ষিক প্যাকেজ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা৷
আরও পড়ুন: দেউচা-পাঁচামি কয়লা ব্লকের আর্থিক ক্ষতিপূরণ চূড়ান্ত, কলকাতা টিভি ডিজিটালের এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেউচা-পাঁচামির প্রস্তাবিত কয়লা- ব্লক প্রকল্প এলাকায় খেত মজুরের সংখ্যা ১৫০-র মত৷ এদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে৷ একশো দিনের কাজের প্রকল্পের হারের ৫০০ দিনের মজুরি পাবেন৷ সেটা গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ১ লক্ষ টাকার মত৷ অপরদিকে বাস্তুচ্যুতদের জন্য আস্ত কলোনি তৈরি করে দেবে সরকার৷ থাকবে পাকা রাস্তা, পানীয় জল, বিদ্যুত, নিকাশি এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা৷ কলোনিতে থাকবে রেশন দোকান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, পোস্ট অফিস, স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, ব্যাঙ্ক, অন্যান্য অফিস, কমিউনিটি সেন্টার, খেলার মাঠ, শিশুদ্যান, উপাসনা গৃহ৷ থাকবে সৎকারের জন্য আলাদা জায়গা৷ তৈরি করা হবে পরিবহণ পরিকাঠামো৷
একই রকম ভাবে জমির উপর গাছ বা শস্য থাকলে সরকার নির্ধারিত দামেই প্যাকেজ পাবেন জামির মালিকরা। গোয়াল ঘর বা পশুখামার থাকলে ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷