কলকাতা: কেবলমাত্র জমি বা বাড়ি থাকলেই নয়, দেউচা-পাঁচামির প্রস্তাবিত কয়লা-ব্লক প্রকল্প এলাকায় ভাড়া থাকলে কিংবা জবরদখল করে থাকলেও ক্ষতিপূরণ মিলবে। আর্থিক ক্ষতিপূরণ তো রয়েইছে, তা ছাড়াও বাংলা আবাস যোজনায় থাকার ঘরও পাবেন তারা। জীবনধারণের জন্য একবছর যাবত ভাতাও পাবেন। কলকাতা টিভি ডিজিটালের এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট।
দেউচা-পাঁচামির প্রস্তাবিত কয়লা-ব্লক প্রকল্প এলাকায় ২৪টি পরিবার ভাড়াবাড়িতে রয়েছেন। আর জবরদখলকারী রয়েছেন ১৫ জন। সূত্রের খবর, তাদের জন্যও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ভাড়াবাড়িতে থাকা পরিবারগুলিকে অন্যত্র বসবাস করার জন্য ৬ মাস যাবত পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। পুনর্বাসনের সময় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার সময় এবং নতুন করে বসবাস শুরু করার জন্য এককালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: দেউচা-পাঁচামি কয়লা ব্লকের আর্থিক ক্ষতিপূরণ চূড়ান্ত, কলকাতা টিভি ডিজিটালের এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট
ঠিক হয়েছে, পরিবার পিছু এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। যদি নতুন বাসস্থানে নলকূপ খননের প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে সরকার পাঁচ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে বলে ঠিক হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিদিনের খরচ, জীবিকা চালানোর খরচ হিসেবে পরিবার পিছু মাসিক দশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এই টাকা ১ বছর পর্যন্ত মিলবে। বাংলা আবাস যোজনায় ঘরও দেওয়া হবে। তবে তা পুনর্বাসন কলোনি এলাকায় নয়। ঘরের বদলে পরিবারপিছু ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেওয়া যাবে।
১৫ জন জবরদখলকারীর জন্যও প্যাকেজ বরাদ্দ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, পুনর্বাসনের সময় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য এককালীন ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। নতুন বাসস্থানে নলকূপ খননের জন্য ৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এ ছাড়াও প্রতিদিনের খরচ, জীবিকা চালানোর খরচ হিসেবে পরিবার পিছু মাসিক দশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এই টাকা ১ বছর ধরে দেওয়া হবে। বাংলা আবাস যোজনায় ঘরও দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখানো মমতা বুঝিয়ে দিলেন সিঙ্গুর জমি অধিগ্রহণের মডেল নয়
বাম আমলে এই এলাকায় পাথর খাদানের কাজ শুরু হয়। যদিও তারপর কোনও পুনর্বাসন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এসে এই বিষয়ে উদ্যোগী হয়। মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার বলেন, ‘আমরা আগে সরকারি জমিতে কাজ শুরু করব। তারপর ধাপে ধাপে অন্যান্য জায়গায় জমি নেওয়া হবে। যে জমিতে কেউ নেই (সরকারি জমি), সেখানেই কাজ শুরু হবে। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খনি হতে চলেছে। সেটা হলে কয়লা জোগান বাড়বে, বিদ্যুৎ সস্তা হবে।’