আপনার শুষ্ক ত্বক। তাই শীতকাল এলেই কীভাবে ত্বক ভাল রাখতে হবে সেই চিন্তায় আপনার ঘুম উড়ে যায়। ময়শ্চারাইজার থেকে সানস্ক্রিন এমনকি লিপ বামও, বছরের বাদ বাকি দিনের ব্যবহারযোগ্য সব কসমেটিক্সের বদলে শুধুমাত্র শীতকালের জন্য নতুন সব কিছু কিন্ত হয়ে। ক্রিম বেস্ড বা বিউটি অয়েল যুক্ত কসমেটিক্স বেছে বেছে কিনতে হয়। শেষ পর্যন্ত তাই ওই নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল-ই ভরসা। তবে শুষ্ক ত্বক ভাল রাখার আপনার এই দুই প্রধান অস্ত্রকেও হার মানিয়ে দিতে পারে সোয়াবিন অয়েল।
রান্নায় সোয়াবিন তেলের ব্যবহার নতুন কিছু নয়। তবে ত্বকের পরিচর্যায় এই তেলের ব্যবহার অনেকেই জানেন না।
শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় সোয়াবিন তেলের জুড়ি মেলা ভার। সোয়াবিনের বড়ি পিষে এই সোয়াবিন তেল তৈরি করা হয়। আপনি চাইলে উপকরণ হিসেবে সোয়াবিনের তেল রয়েছে এমন কসমেটিক্স বাছতে পারেন কিংবা চাইলে সোয়াবিন তেল সরাসরি ত্বকে লাগাতে পারেন। শুষ্কতার কারণে ফেটে যাওয়া ত্বক প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা এনে নিমেষে ত্বকের শুশ্রুষা করে তোলে।
এই সোয়াবিন তেলের অন্যতম প্রধান উপাদান হল লিনোলিয়েক অ্যাসিড। এই ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের যে নিজস্ব সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে তা মজবুত করে তোলে।
লিনোলিয়েক অ্যাসিডে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে সারিয়ে তোলে। এবং শুষ্ক আবহাওয়ার বা পরিবেশ দূষণের কারণে ত্বকের বাড়তি কোনও ক্ষতি করতে পারে না।
এছাড়া সোয়াবিন তেলের অ্যান্টি এজিং কার্যকারিতা রয়েছে। এবং এটা কুচকানো ত্বক ও বলি রেখা মুছে ত্বক টানটান করে। ত্বকে তারুণ্য ফিরিয়ে আনে।
লিনোলিয়েক অ্যাসিডের পাশাপাশি সোয়াবিন তেলে রয়েছে ভিটামিন ই। এর ফলে এই তেলের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা রয়েছে। এবং ত্বকের অ্যালার্জি কিংবা চুলকানি বা জ্বালার সমস্যায় এই তেল বেশ উপকারী।
তবে ত্বকে ব্রণর সমস্যা থাকলে এই তেল ব্যবহার করা যাবে না। এই তেলে ভীষণ রকমের কোমিডোজেনিক, মানে এই তেল ব্যবহার করলে ত্বকের রোমকূপের মুখ বন্ধ করে ব্রণ বা ফুসকুড়ির সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
তৈলাক্ত বা ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য এই সোয়াবিন তেল অপকারী হলেও এই তেলে শুষ্ক ত্বক যাদের তাদের কাছে ত্বক পরিচর্যার একেবারে হিরো!