মেদিনীপুর: ১৬ নভেম্বর থেকে খুলছে স্কুল৷ ওই দিন থেকে শুরু হবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ক্লাস৷ শিক্ষা দফতরের নির্দেশ, স্কুল খোলার আগেই স্যানিটাইজেশনের কাজ শেষ করে ফেলতে হবে৷ তাই বুধবার সকাল থেকে পুরসভার উদ্যোগে মেদিনীপুরের স্কুলগুলিতে শুরু হল স্যানিটাইজেশন৷ এ জন্য কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে৷ মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সমস্ত স্কুলে স্যানিটাইজেশনের কাজ শেষ করে ফেলা হবে৷
অতিমারির প্রকোপে প্রায় দু’বছর বন্ধ সব স্কুল৷ সমস্ত পড়াশোনা অনলাইনেই চলছে৷ কিন্তু এভাবে পঠন-পাঠনে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত অভিভাবক থেকে শিক্ষক মহল৷ কিন্তু স্কুল খুলে দিলে ছোটদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল৷ তাই ঝুঁকি না নিয়ে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতির উন্নতির দিকে নজর ছিল সরকারের৷ এপ্রিল-মে’র তুলনায় এখন পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে দেখে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয় নবান্ন৷ জানিয়ে দেয়, কালীপুজো, ভাইফোঁটা, ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো মিটলেই ১৬ নভেম্বর থেকে উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের নিয়ে আবার স্কুল চালু হবে৷ তবে তার আগে সমস্ত স্কুলগুলিকে জীবাণুমুক্তকরণের কাজ শেষ করে ফেলতে হবে৷
পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানের তদারকিতে চলে স্যানিটাইজেশনের কাজ৷ বুধবার৷ নিজস্ব চিত্র৷
সেই মত আজ বুধবার মেদিনীপুর পুর এলাকার স্কুলগুলিতে শুরু হয়েছে স্যানিটাইজেশনের কাজ৷ পুর কর্মীরা ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে জীবাণুনাশক ছড়িয়ে বেঞ্চ, টেবিল, চেয়ার সব জায়গাগুলি জীবাণুমুক্ত করেন৷ মেদিনীপুর শহরের মিশন গালর্স স্কুলে স্যানিটাইজেশনের কাজ চলার সময় নিজে উপস্থিত ছিলেন পুরসভা চেয়ারম্যান সৌমেন খান৷ তিনি জানিয়েছেন, স্যানিটাইজেশনের কাজের জন্য ১০ জন পুর কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে৷ তাঁরাই আজ স্কুলগুলিতে গিয়ে জীবাণুমুক্তকরণের কাজ করেন৷ পাশাপাশি দেড় বছর ধরে স্কুলগুলি বন্ধের কারণে একাধিক পরিকাঠামোগত ক্রুটি তৈরি হয়েছে৷ সেগুলি মেরামতির উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা দফতর৷