তমলুক: কো-অর্ডিনেটর তিস্তা বিশ্বাস দাসের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছল ৩ সদস্যের ফরেনসিক টিম। প্রথমে তাঁরা তমলুক থানায় তিস্তা বিশ্বাসের গাড়ি ও পরে নিমতৌড়িতে ঘাতক এই দুটি গাড়ি পরীক্ষা করেন। এরপর দুর্ঘটনা স্থলে খতিয়ে দেখেন। প্রত্যেক জায়গাতেই নমুনা সংগ্রহ ছাড়া প্রয়োজনীয় ছবি ও তোলেন তাঁরা।
বুধবার পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কলকাতা পুরসভার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাসের৷ ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে পথ দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে৷ একই সঙ্গে তাঁর মেয়ে ও স্বামী গুরুতর জখম হয়েছেন।
আরও পড়ুন – বাজি নিষিদ্ধ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ, সোমবার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে
সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের হেঁড়িয়ার কাছে একটি কলেজ থেকে এমএডের সার্টিফিকেট নিতে গিয়েছিলেন তিনি৷ ফেরার পথে তমলুক থানার নিমতৌড়িতে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন৷ পিছন দিক থেকে একটি ট্রলার তাঁদের ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ৷ এরফলে, ঘটনাস্থলেই দুমড়ে মুচড়ে যায় তাঁদের গাড়ি৷ স্থানীয় ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন৷ নিয়ে যাওয়া হয় তমলুক জেলা হাসপাতালে৷ কিন্তু, কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তিস্তাদেবীকে মৃত ঘোষণা করেন৷এই ঘটনার পরেই রবিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরেনসিক টিম।
সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণ করার পর ফরেনসিক ল্যাবরেটরির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর চিএাক্ষ সরকার জানান, মূলত তিনটি গাড়ি তাঁরা ফরেনসিক পরিক্ষা করেছেন । একটি ভিকটিম ভেহিক্যাল এবং দুটি ডিফেন্স ভেহিক্যাল । ঘটনাস্থলও তাঁরা ঘুরে দেখেন সেখানকার ফটোগ্রাফি এবং একাধিক নমুনাও সংগ্রহ করেন। তবে, কোনও মতামত তিনি প্রকাশ করতে চাননি । প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে তিস্তার স্বামী গৌরব বিশ্বাস গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ড্রাইভারের ইয়ারব্যাগ থাকায় তিনি রক্ষা পান।