আগরতলা: মুখ্যমন্ত্রী তো দূর, বিপ্লব দেবের ক্লাবের সম্পাদক হওয়ারও যোগ্যতা নেই। বিপ্লব দেব এখন ‘বিগ-ফ্লপ-দেব’। রবিবার আগরতলার সভা থেকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সভা থেকে বিপ্লবকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় দুয়ারে গুণ্ডারাজ চলছে। ডবল ইঞ্জিন সরকারের নামে অবাধে লুঠপাত চলছে। আপনি বিন তুঘলকের মতো আচরণ করছেন। কোটি কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটাও চাকরি দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে ত্রিপুরা আসছেন মমতা, আগরতলার সভা থেকে ঘোষণা অভিষেকের
সভা নিয়ে টানাপোড়েনের বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বলেন, আপনি ১৪৪ ধারা আমার জন্য করুন। ত্রিপুরার মানুষ কী দোষ করেছে? আমি আসব বলে কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে। এয়ারপোর্টে ব্যারিকেড বসিয়েছে। বিপ্লববাবু ভয় পাচ্ছে, যদি কেউ তৃণমূলের সভায় চলে আসে!
এ দিন তৃণমূলের সভামঞ্চে বিজেপি ছেড়ে জোড়াফুল শিবিরে নাম লেখান সুরমার বিধায়ক আশিস দাস। সূত্রের খবর, আরও কয়েকজন বিধায়ক তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, একটা সুইচ টিপলেই বিজেপির ১৫ জন বিধায়ক চলে আসবেন। কিন্তু আমরা সেটা চাই না। ২০২৩ সালে বিজেপিকে উপড়ে ফেলাই মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: ডবল ইঞ্জিন মানে ডবল চোর, ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে কটাক্ষ অভিষেকের
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, সময় শুরু হয়ে গিয়েছে। কেউ বাঁচাতে পারবে না। বিপ্লব দেব সরকারের এক্সপায়ারি ডেট ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারি। আজ খুঁটিপুজো হয়েছে। ২০২৩-এ বিসর্জন হবে। বাংলায় যে সমস্ত উন্নয়নমূলক প্রকল্প হচ্ছে, আমরা ক্ষমতায় এলে সব প্রকল্প ত্রিপুরায় চালু হবে।
বিজেপিকে করোনা ভাইরাসের সঙ্গেও তুলনা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, করোনার মতো বিজেপিও একটা ভাইরাস। আর তার ভ্যাকসিনের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডবল ডোজ দিতে হবে। ২৫ নভেম্বর পুরভোটে প্রথম ডোজ দিন। দ্বিতীয় ডোজ দিন ১৩ মাস পর ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারিতে।