অন্ডাল : যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষ এখন নিজেদের পেশার পরিবর্তন করেছেন। তবে, এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁরা তাঁদের পেশার পরিবর্তন করতে পারেননি। বংশ পরম্পরায় পেশাকে আঁকড়ে বাঁচছেন তাঁরা।
এবছর কালী পুজোয় লাভের মুখ দেখছেন চাঁদমালা সহ ডাকের সাজ তৈরির শিল্পীরা। জায়গাটা অন্ডালের উখড়ার চুনারি পাড়া। প্রায় ২০টি পরিবার চাঁদমালা সহ নানান ধরনের ডাকের সাজ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। পাঁচ পুরুষ ধরে এই পরিবারগুলো এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। বংশ পরম্পরায় তাঁরা এই পেশায় ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন।
বর্তমানে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ও বাজারে সস্তা রেডিমেড ডাকের সাজের সামগ্রী বিক্রি হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির সন্মুখীন হতে হচ্ছে, বলে অভিযোগ শিল্পীদের। তাঁদের তৈরি সামগ্রী দুর্গাপুর-অন্ডাল-পান্ডবেশ্বর-আসানসোল সহ ভিন রাজ্যেও বিক্রি হয়। করোনাবিধি অনেকটা শিথিল করায় ফের আগের মতো লাভের মুখ দেখতে পাবেন বলে আশা শিল্পীদের।
আরও পড়ুন : ১ নভেম্বর থেকে এই সমস্ত স্মার্টফোনে সাপোর্ট করবে না হোয়াটসঅ্যাপ
পুজোর আগে এই সকল পরিবারের কাজের ব্যস্ততা থাকে চরমে। পুরুষদের সঙ্গে সঙ্গে কাজে হাত লাগাতে দেখা যায় বাড়ির মহিলাদেরও। কেউ শোলা কেটে কারুকার্য করেন, কেউ আবার জরি, চুমকি, রঙ বেরঙের আর্ট পেপার কাটেন। কেউ আবার আঠা দিয়ে ডাকের সাজ সাজান-গোছান। তবে দিনরাত পরিশ্রম করেও এই শিল্পে তেমন লাভের মুখ দেখতে পান না তাঁরা। তাঁদের কথায় লক্ষ্য করা যায় হতাশার সুর। তা সত্ত্বেও বছরের পর বছর ধরে রেখেছেন এই শিল্পকে।
শোলার তৈরি চাঁদ মালা
কালীপুজোর সময় যেমন এই সকল শোলা শিল্পীদের বাড়তি কিছু টাকা রোজগারের তাগিদে দিনরাত এক করে পরিশ্রম করতে হয়। ঠিক তেমনই এই শিল্পের উপর নির্ভর করে এলাকার বেশ কিছু মানুষ কাজ করে অর্থ উপার্জন করে থাকেন। বলাই বাহুল্য, দীর্ঘ ২ বছরের কাছাকাছি সময় ধরে করোনা সংক্রমণের কারণে পুজোর বাজেট কমার পাশাপাশি কমেছে কাজ। কমেছে লাভের অঙ্ক।