কলকাতা: উত্তরবঙ্গ সফর চলাকালীন সোমবারই কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, দেশে বিজেপির মোকাবিলায় ব্যর্থ কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের কয়েকদিনের মধ্যে তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগোবাংলা’য় ফের কংগ্রেসকে একহাত নিল জোড়াফুল শিবির। তৃণমূলের স্পষ্ট বার্তা, আমরা বিজেপির বিকল্প চাই। বিজেপির বিরুদ্ধে জোট চাই।
তৃণমূলের স্পষ্ট বার্তা, বিজেপির বিরুদ্ধে দল জোট চাইলেও কারোর জন্য অপেক্ষা করা হবে না। দলের মুখপত্রে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের নেত্রী বলেছিলেন জোটের কাঠামো হোক, স্টিয়ারিং কমিটি হোক, নীতি বা কর্মসূচির লাইন তৈরি হোক। কোথায় কী! কংগ্রেস টুইটেই সীমাবদ্ধ। জোট তৈরির কার্যকরী পদক্ষেপ নেই। ২০১৪, ২০১৯-এর লোকসভায় কংগ্রেস ডুবেছে এবং ডুবিয়েছে। আমরা কি আবার ওদের জন্য বসে থাকব?’
আরও পড়ুন: মোদি বিরোধিতায় কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট নয়, ‘জাগো বাংলা’য় বার্তা তৃণমূলের
কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টিকেও কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার দলের মুখপত্র ‘জাগোবাংলা’র সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘ওরা নিজেদের সমস্যায় জেরবার। রাজপথে নেই। লাগাতার আন্দোলনে নেই। বিজেপিকে কী করা হারাতে হয় আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। ফলে কংগ্রেসের ভরসায় বসে থাকা যাবে না। আমরা আমাদের শক্তি বাড়াতেই থাকব। যেখানে যা প্রয়োজন, মানুষ যেভাবে চাইবে এগোব।’
দিল্লিতে সনিয়া-রাহুলের সঙ্গে বৈঠক শেষে মমতা (ফাইল ছবি)
জোটে বিষয়েও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে তৃণমূল। মুখপত্র লেখা হয়েছে, ‘জোটের দরজা খোলা। কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে চলার কথা আমাদের নেত্রী বলেননি। আবার ওদের জন্য সময় নষ্ট করার কোনও ইচ্ছাও আমাদের নেই। তৃণমূল কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে শক্তি বাড়াবে। তার পর বিজেপি-বিরোধী জোট নিয়ে কার্যকরী কোনও পদক্ষেপের সময় এলে দেশের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত নেবে তৃণমূল।’
আরও পড়ুন: বিজেপি বিরোধিতায় ব্যর্থ কংগ্রেস, বিকল্প তৃণমূলই, শিলিগুড়িতে বললেন মমতা
কয়েকমাস ধরেই অসম, ত্রিপুরা, গোয়া সহ বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসে ভাঙন ধরাচ্ছে তৃণমূল। বিষয়টি নিয়ে সরাসরি মুখ না খুললেও এতে কিছুটা অসন্তুষ্ট কংগ্রেস। মমতা দিল্লি গিয়ে সনিয়া-রাহুলের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করলেও কংগ্রেস-তৃণমূল ঠান্ডা লড়াই চলছে। জাতীয়স্তরে মোদি বিরোধী শক্তি হয়ে উঠতে মরিয়া তৃণমূল। বাংলার ছাড়াও তাই অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন বিস্তারে জোর দিয়েছে। পাল্টা জমি ছাড়তে রাজি নয় কংগ্রেসও। ফলে যত দিন যাচ্ছে দুই দলের মধ্যে লড়াই বাড়ছে।