নয়াদিল্লি: ভারতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ফাইজার৷ জানা গিয়েছে, ছাড়পত্র পাওয়ার বিষয়টি এখন চূড়ান্ত পর্বে রয়েছে৷ মঙ্গলবার সংস্থার সিইও অ্যালবার্ট বোরলা আশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, সরকারের সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি চুক্তি পাকা করে ফেলবে তারা৷ চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে ফাইজার হবে স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের পর দ্বিতীয় বিদেশি ভ্যাকসিন৷
আরও পড়ুন: ডেল্টা নিয়ে ৩ রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্র
ফাইজার ও মর্ডানার মতো বিদেশি ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য আগেই ছাড়পত্র দেয় দেশের ড্রাগ নিয়ামক সংস্থা ডিসিজিআই৷ এজন্য ভারতে ট্রায়ালের প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়৷ তবে ব্যাপক পরিমাণে দেশবাসীকে দেওয়ার আগে প্রথম যাঁরা এদেশে প্রথম ফাইজারের ডোজ নেবে তাদের ওপর নজর রাখা হবে৷ এদিকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশজুড়ে ভ্যাকসিনের ঘাটতি অনেকটাই কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা৷
আরও পড়ুন: তিন রাজ্যে করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্তের খোঁজ মিলল
জার্মান বায়োটেকনোলজি কোম্পানি বায়োএনটেকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে করোনার টিকা এনেছে মার্কিন কোম্পানি৷ আমেরিকায় জরুরি ভিত্তিতে ১২ বছর বয়সী ঊর্ধ্বদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছে৷ তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ফাইজারের কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশ পাওয়া গিয়েছে৷ কোম্পানির তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, অনুমোদন পেলেই জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে তারা ৫ কোটি ডোজ সরবরাহ করতে পারবে৷ শোনা যাচ্ছে, অগাস্ট মাস নাগাদ ফাইজার ভারতের বাজারে চলে আসবে৷ যদিও কোম্পানির তরফে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি৷