শিলিগুড়ি: দেশে বিজেপির মোকাবিলায় ব্যর্থ কংগ্রেস। এর আগেও একাধিকবার এই দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কখনও দলীয় মুখপত্রে আবার কখনও দলের নেতারা প্রকাশ্যে বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে বিজেপি বিরোধিতার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন স্বয়ং মমতা। বিকল্প যে তৃণমূলই, তাও স্পষ্ট করে দেন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমোর স্পষ্ট বার্তা, বাংলায় যখন বিজেপিকে রুখে দিতে পেরেছি, দেশেও পারবো।
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, কংগ্রেস অনেক সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু বিজেপি বিরোধী মুখ হয়ে উঠতে তারা ব্যর্থ। দলের মুখপত্র জাগো বাংলার উৎসব সংখ্যাতেও কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা। লিখেছিলেন, বাস্তবতা বুঝতে হবে কংগ্রেসকে। দেশের স্বার্থেই বিরোধীদের একজোট হওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। এ দিনও মমতার মুখে সেই একই কথা শোনা গিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই জোটে কংগ্রেসকে সামিল হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাননি মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্য ঘিরে টুইটযুদ্ধ কংগ্রেস-তৃণমূলের
কয়েকমাস ধরেই অসম, ত্রিপুরা, গোয়া সহ বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসে ভাঙন ধরাচ্ছে তৃণমূল। বিষয়টি নিয়ে সরাসরি মুখ না খুললেও এতে কিছুটা অসন্তুষ্ট কংগ্রেস। মমতা দিল্লি গিয়ে সনিয়া-রাহুলের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করলেও কংগ্রেস-তৃণমূল ঠান্ডা লড়াই চলছে। এ দিন যেমন উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের দুই নেতাকে দলে যোগদান করাল জোড়াফুল শিবির। মমতা ও অভিষেকের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন উত্তরপ্রদেশের দুই কংগ্রেস নেতা রাজেশপতি ত্রিপাঠী ও ললিতেশ ত্রিপাঠী।
জাতীয়স্তরে মোদি বিরোধী শক্তি হয়ে উঠতে মরিয়া তৃণমূল। বাংলার ছাড়াও তাই অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন বিস্তারে জোর দিয়েছে। পাল্টা জমি ছাড়তে রাজি নয় কংগ্রেসকে। ফলে যত দিন যাচ্ছে দুই দলের মধ্যে লড়াই বাড়ছে। মমতা বার বারই দাবি করেছেন, বিরোধী জোটের নেতৃত্ব কে দেবে তা নিয়ে ভাবনার সময় আসেনি। এ দিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ২০২৪-এ বিরোধী জোটের নেতৃত্ব নিয়ে কিছু বলেননি তিনি।
আরও পড়ুন: বিজেপি-র বিরুদ্ধে ব্যর্থ কংগ্রেস, লড়াইয়ের মুখ তৃণমূল, জাগো বাংলার উৎসব সংখ্যায় লিখলেন মমতা
অক্টোবরের শুরুতেও কংগ্রেস-তৃণমূলের ঠান্ডা লড়াই প্রকাশ্যে এসেছিল। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসকে আক্রমণ করে টুইটে লেখেন, শতাব্দী প্রাচীন পার্টির গভীর সমস্যা এবং কাঠামোগত দুর্বলতা মোকাবিলার কোনও তাৎক্ষণিক সমাধান নেই। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন। তিনি লেখেন, যারা নিজেদের আসনও জিততে পারে না (নন্দীগ্রাম নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ), তারা কংগ্রেসের নেতাদের দলে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে বিকল্প হয়ে ওঠার কথা ভাবছে!