লালমাটির উপর জঙ্গলের বুক চিরে চলে গেছে ঘাগরা নদী৷ ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ির আঁকাবাঁকা পাথুরে নদীপথে গড়ে উঠেছে অপূর্ব পর্যটন কেন্দ্র৷ মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে রসাস্বাদন করতে ভিড় করতেন পর্যটকরা৷ করোনা পরিস্থিতিতে এখন অবশ্য দেখা নেই তাদের৷ পর্যটক না থাকলেও ঘাগরা নদীর উপর দিয়ে নিত্যদিন চাঁদাবিলা, কুষভুলা, কলাবনি, চিরুগরা গ্রামের সাধারণ মানুষের যাতায়াত৷ স্থায়ী সেতু না থাকায় যাওয়া আসার সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের৷ গ্রামবাসীদের দাবি, ঘাগরা নদীর উপর স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হোক৷ প্রতিদিন এই পথেই হাসপাতালে যেতে হয় রোগীদের৷ গ্রাম পেড়িয়ে স্কুলে যেতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের৷
আরও পড়ুন ৫০ বছরেও মিলল না পাকা সেতু
বর্ষায় ঘাগরা নদীতে বাণ ডাকলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা৷ কোথাও হাঁটু জল আবার কোথাও কোমর সমান জল সাঁতরে পার হতে হয় মানুষকে৷ বেলপাহাড়ি যেতে হলে প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘুর পথ ঘুরে যেতে হয়। গ্রামবাসীদের দাবী, ঘাগরা পর্যটন কেন্দ্রে কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করতে হবে৷ বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাহালা হাঁসদার বক্তব্য, বনবিভাগের সহযোগীতা না পেলে সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়৷ কর্মক্লান্ত হয়ে ঘাগরার জলাশয়ের পাশের শালবনের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে আসেন পর্যটকরা৷ দিন তিনকের ভ্রমণ শেষে ফিরে যান কর্মব্যস্ত শহরের পথে৷ কিন্তু জঙ্গলের বুকেই যাদের জন্মকর্ম, জঙ্গলকে কেন্দ্র করেই যাদের জীবন জীবিকা, স্থায়ী কংক্রিটের সেতুর অভাবে ঝুঁকির পথ প্রতিদিনই চলছেন তারা৷ গ্রামবাসীদের আশা, সরকার তাদের দাবি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে৷