পুঞ্চ : রবিবার কাশ্মীরের পুঞ্চে সেনা জঙ্গি সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক পাকিস্তানী জঙ্গির। লস্কর-ই-তৈবার একটি গোপন ঘাঁটি শনাক্ত করার জন্য পুলিশ এক জঙ্গিকে জেল থেকে নিয়ে এসে অনুসন্ধান কাজ চালাচ্ছিল। সেই সময় জঙ্গিদের গুলিতে মারা যায় ওই পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী। মৃতের নাম জিয়া মুস্তাফা।
আরও পড়ুন : পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ বাংলাদেশ-মায়ানমারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কেএলও জঙ্গির
জঙ্গী গোষ্ঠীর খোঁজে রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার একটি জঙ্গলে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ উদ্যোগে একটি দল অনুসন্ধান চালাচ্ছিল। সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গিদের গুলিতে জিয়া মুস্তাফা নামে ওই সন্ত্রাসবাদী ও ৩ জন নিরাপত্তা কর্মী জখম হন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ভাট্টা দুরিয়ান বন থেকে ভারী গুলিবর্ষণ ও বিস্ফোরণে শব্দ শোনা গেছে। থানামান্ডি সংলগ্ন বনাঞ্চলে সেনাবাহিনী অনুসন্ধান অভিযান এখনও জারি রেখেছে। ১১ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সুরান কোড এবং মেন ধারে অতর্কিত হামলা চালিয়ে কয়েকজন সেনা সদস্যের মৃত্যু ঘটে হামলাতেই মৃত্যু হয় সন্ত্রাসবাদি জিয়া মুস্তাফা সহ দুই পুলিশ সদস্য ও এক সেনা জোনের। সেনাবাহিনীর অভিযানের সময় সন্ত্রাসবাদীদের আস্তানা শনাক্ত করার জন্য মুস্তাফাকে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেনাবাহিনী যখন জঙ্গি গোষ্ঠীর গোপন আস্তানায় পৌঁছয়, সেই সময় সেনাবাহিনীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। আর তাতেই এক সেনা জওয়ান ও ২ পুলিশকর্মী জখম হন। গুলিতে জিয়া মুস্তাফার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র। সেনাবাহিনীর তরফে পরবর্তী অভিযানে মোস্তফার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। সেনা কর্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়াল কোর্টের বাসিন্দা জিয়া মুস্তাফা ১৪ বছর ধরে কোড ভাওয়াল জেলে বন্দী ছিল। জেলে বন্দী থাকলেও জঙ্গিদের সঙ্গে তার গোপনে যোগাযোগ ছিল। পুলিশের তরফে এই খবর জানার পরেই মুস্তাফাকে সঙ্গে নিয়ে কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনাবাহিনী জঙ্গিদের গোপন ডেরায় অভিযান চালায় আর সেখানেই এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।