লিপস্টিক পড়তে ভীষণ ভালবাসেন। লিপস্টিকের ওপর আপনার এই অমোঘ টানে বাঁধ সাধতে পারেনি করোনা, মনের আনন্দের পোশাকের সঙ্গে মানানসই মাস্কের তলায় পছন্দের রঙে রাঙিয়েছেন ঠোঁট। তা এই ভালবাসা অক্ষত রাখতে লিপস্টিক কেনার সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন-
ত্বকের রঙ অনুযায়ী লিপস্টিকের শেড বাছুন
শেড দেখে কেনার বদলে আপনার ত্বকের সঙ্গে যাচ্ছে কিনা তা পরখ করে নিলেই ভাল। হতেই পারে আপনার বন্ধুর ঠোঁটে যে রঙটা ভাল লাগছে সেটা আপনার ঠোঁটে তেমন খুলল না। আবার এর উল্টোটাও হতে পারে।
লিপস্টিকের শেল্ফ লাইফ যাচাই দেখে কিনুন
আপনি যদি ভেবে থাকেন লিপস্টিক বছরের পর বছর ব্যবহার করবেন তা হলে সেই ধারনা ভুল। সাধারণত লিপস্টিকের শেল্ফ লাইফ ৩ বছর পর্যন্ত থাকে। তাই আপানার ব্যবহারের ধরনের ওপর নির্ভর করছে আপনি কম শেলফ লাইফের লিপস্টিক কিনবেন কিনা। অনেক সময় লিপস্টিকের শেল্ফ লাইফ কমে এলে সেগুলো বিক্রি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে বিপনণী সংস্থাগুলো। সেক্ষেত্রে সজাগ থাকুন অফারের ফাঁদে পা দিয়ে কম শেল্ফ লাইফের লিপস্টিক কিনবেন না।
নন ট্র্যান্সফারেবেল লিপস্টিক কিনবেন না
এই ধরনের লিপস্টি ঠোঁট শুকিয়ে দেয়। এর ফলে ঠোঁটের চামড়া ওঠা বা ঠোঁট ফাটার মত সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে আপনার যদি এই ধরনের লিপস্টিক ভীষণ পছন্দ হয় সেক্ষেত্রে বরং যে এই ধরনের লিপস্টিক কেনার সময় হাইড্রেটিং প্রপার্টি বা আদ্রতা বজায় রাখার ক্ষমতাসম্পন্ন কিনা তা দেখে নিন।
লিপস্টিক কেনার সময় উপকরণগুলি যাচাই করে নিন
কোনও শেড পছন্দ হল কিংবা নামী দামী ব্রান্ডের লিপস্টিক হলেই তড়িঘড়ি কিনে ফেলবেন না। বরং এই লিপস্টিকের উপকরণের তালিকাটা দেখে নিন। হতেই পারে এতে এমন কিছু উপাদান আছে যা আপনার ত্বকের পক্ষে ভাল না কিংবা আপনার কোনও একটি বিশেষ উপকরণে অ্যালার্জির সমস্যা আছে।
রেপলিকা দেখে ভুলবেন না
কসমেটিক্সের জনপ্রিয়তা ও চড়া দামের সুযোগ নিয়ে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন নামী দামী ব্র্যান্ডের নকল সামগ্রী বানিয়ে বিক্রি করেন। আর এগুলো এমন ভাবে করা হয় যাতে চট করে চোখে পড়ে না। অনেক সময় ব্র্যান্ডের নামের সঙ্গে নামের আদ্যভাগে মিল থাকায় অনেকেই তড়িঘড়ি ভুল লিপস্টিক কিনে ফেলেন। এটা একদম করবেন না টাকাও খসবে এদিকে ঠোঁটেরও ক্ষতি হবে। তাই লিপস্টিক কেনার সময় অরিজিন্যাল ব্র্যান্ডের স্টল থেকে লিপস্টিক কিনুন।