জলপাইগুড়ি : দক্ষিণবঙ্গের পর এবার উত্তরবঙ্গ। বাড়ছে তিস্তার গর্জন। বাংলায় দুর্যোগ লেগেই রয়েছে। একের পর এক নিম্নচাপ। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গে যে বন্যা দেখা দিয়েছিল, তার ধাক্কা এখনও সামলে ওঠেনি মানুষ। পুজোর চারদিন রেহাই মিললেও, নিস্তার নেই। তিস্তা নদীতে আচমকাই জলস্ফীতি। যার জেরে বন্যা দুর্গত বহু মানুষ। পরিস্থিতি সরজমিন তদন্ত করতে তিস্তা নদী সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা দল নিয়ে রাতভর ঘুরে দেখলেন পুলিশ সুপার।
জলপাইগুড়ি তিস্তা ব্রিজ সংলগ্ন বিবেকানন্দ পল্লিতে হাজার চারেক মানুষ বসবাস করে। সেই এলাকায় এখন জল ঢুকতে শুরু করেছে তিস্তার। খবর পেয়ে রাতেই টিম নিয়ে পৌঁছে যান পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বাঁধ মেরামতের কাজে হাত লাগায় পুলিশ। এদিন রাতে বিবেকানন্দ পল্লিতে উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সমীর পাল ও আইসি কোতোয়ালি অর্ঘ্য সরকার। স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন : ক্যামেরায় ধরা পড়ল লাভার মেঘ ভাঙা বৃষ্টির অপরূপ দৃশ্য
আর একদিকে তিস্তার মৌয়ামারি চড়ে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার আটকে। সেখানে রাতেই পৌঁছয় পুলিশবাহিনী। আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারের জন্য ব্যবস্থাও নেন তারা। দুর্গতদের উদ্ধারে নামানো হয়েছে এনডিআরএফ দল। তাদের মাধ্যমে এলাকায় পানীয় জলও পাঠানো হয়েছে। খারাপের মাঝেও কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। নিম্নচাপ সরে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকেই আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করবে। রাতের দিকে তাপমাত্রার পারদও নামতে পারে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি। ফলে শীতের আমেজ উপভোগ করবে শহরবাসী। তবে, উপকূলের জেলাগুলিতে জারি থাকবে বৃষ্টি। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। এছাড়া মালদহ ও দুই দিনাজপুরেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে।