কলকাতা: গড়িয়াহাটের জোড়া খুনের ঘটনায় খুনী কারা? সে ব্যাপারে অন্ধকারে পুলিশ৷ কিন্তু খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে বড়সড় ক্লু পেলেন তদন্তকারীরা৷ যা তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে৷ তদন্তকারীদের অনুমান, খুন করে বালিগঞ্জ জংশন থেকে ট্রেন ধরে পালিয়েছে আততায়ীরা৷ এদিন বৃষ্টি ভেজা সকালে কাঁকুলিয়া রোডের ওই তিনতলা বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এক স্নিফার ডগকে৷ গন্ধ শুঁকে তদন্তকারীদের সে টেনে নিয়ে যায় বালিগঞ্জ স্টেশন অবধি৷ এমনকী প্ল্যাটফর্মে ঢুকেও ঘুরঘুর করে কিছুক্ষণ৷ তবে কি এখান থেকেই ট্রেনে করে পালিয়েছে আততায়ীরা? প্রশ্নটা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের৷
আরও পড়ুন: নিম্নচাপের কালো মেঘ কাটলে শুক্র থেকেই শীতের আমেজ মজবে মহানগর
সোমবার সকালে কাঁকুলিয়া রোডের ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় মালিক সুবীর চাকি ও তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলের রক্তাক্ত দেহ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে খুনটা হয়েছিল রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর৷ কিন্তু খুনের কারণ কী? কারা খুনী? ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর মেলেনি৷ উত্তর মিলছে না আরও অনেক প্রশ্নের৷ তবে সব প্রশ্নের উত্তর এক এক করে খোঁজার চেষ্টা করছেন লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগের কর্তারা৷
আজ সকালের তদন্তের পর আততায়ীদের সম্ভাব্য পালানোর রাস্তার হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা৷ এতে তদন্তে নতুন মোড় আসতে পারে বলে অনুমান৷ এদিন সকালে একটি স্নিফার ডগকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গেছিলেন তদন্তকারীরা৷ গোটা বাড়ি ও বাড়ির আশেপাশের এলাকায় কুকুরটিকে ঘোরানো হয়৷ তার পরই সে রাস্তা ধরে এগিয়ে চলতে শুরু করে৷ মিনিট দশেক হাঁটার পর তদন্তকারী অফিসারকে নিয়ে বালিগঞ্জ স্টেশনের মুখে এসে দাঁড়ায়৷
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের মন্থর গতির ফলে কলকাতা হাই কোর্টে অর্ধেক বিচারপতির আসন ফাঁকা
কিন্তু সেখানে না থেমে ঢুকে পড়ে স্টেশনের ভেতর৷ সিঁড়ি দিয়ে উঠে সোজা চলে যায় ডাউন লাইনের দিকে৷ সেখানে কিছুক্ষণ ‘তদন্ত’ চালায়৷ তার পর আবার গড়িয়াহাটে ফিরে আসে৷ যা দেখে মনে করা হচ্ছে, খুনের পর ট্রেন ধরে হয় শিয়ালদহ অথবা ক্যানিং, বজবজ বা ডায়মন্ড হারবারের দিকে পালিয়েছে আততায়ীরা৷ তদন্তকারীদের আশা, এবার আততীয়দের চিহ্নিত করা আরও সহজ হতে পারে৷ হত্যাকারীদের খুঁজতে তাই স্টেশন ও আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে৷