কোভিডকালে এখন স্বাস্থ্য নিয়ে একটু বাড়তি সচেতন সকলেই। তার মধ্যে পুজোর কটা দিন যা অনিয়মম হয়েছে তাতে শরীরের প্রয়োজন সঠিক বিশ্রামের। এদিকে শরীর ঠিক রাখতে প্রয়োজন পেটের খেয়াল রাখা। এদিকে গুটি গুটি পায়ে চলে এসেছে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় ও মিষ্টি মুখের পালা। আজকাল আর আগের মত ঘটা করে বিজয়া পালন না হলেও অনেকেই আজও পুরনো এই ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছেন। আগের বছর করনো বাধ সাধ্যলেও। বিজয়ার খাওয়া দাওয়া দেখা সাক্ষাত এবার চলবেই। তা আপনার অতিথিরা যদি বিজয়ার মিষ্টি খাওয়া নিয়ে বেশি চিন্তিত হন তাহলে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন দারুন একটা ফিউজান ডেজার্ট, মতিচুর চিজকেক। মিষ্টিমুখের নিয়ম রক্ষাও হবে আবার বাড়িতে তৈরি এই ডেজার্টে মনও ভরবে সবার। রইল রেসিপি-
উপকরণ
বেস তৈরির জন্য লাগবে
ক্রাশ্ড বিস্কুট- ১ কাপ ও ১/২ কাপ
পিস্তাবাদাম- ১/৪ কাপ
ঘি (গলানো)-১/২ কাপ
বোঁদে বানাতে লাগবে
বেসন-১/২ কাপ
জল- ১/৩ কাপ
কমলা রং (ফুড কালারিং)-১ চা চামচ
চিনের রস বানাতে লাগবে
জল- ১/৩ কাপ
চিনি-১/২ কাপ
গোলাপ জল- ১ চা চামচ
কমলা রং (ফুড কালারিং)
ফিলিং বানানোর জন্য
হুইপিং ক্রিম- ৩/৪ কাপ
কর্নফ্লাওয়ার- ১ + ১/২ টেবিলস্পুন
ক্রিম চিজ- ২ কাপ
এলাচ- ১/৪ চা চামচ
সামান্য কেশর
কনডেনস্ড মিল্ক- ১ + ১/ ২ কাপ
মতিচুর চিজকেক বানিয়ে নিন এ ভাবে-
প্রথমে বেসন, জল ও কয়েক ফোঁটা অরেঞ্জ ফুড কালার মিশিয়ে ভেজে নিন। আপনার বোঁদে তৈরি। শুদ্ধ ঘি ব্যবহার করুন। এবং ভাজা হয়ে গেলেই চিনির রসে ভিজিয়ে দিন। গোলাপ জল দিয়ে তৈরি চিনির রস হলে সোনায় সোহাগা।
এবার বিস্কুট ও পিস্তা বাদাম মিক্সিতে পিষে নিন। এবার এটা একটা বাটিতে নিয়ে নিন এবং ঘি দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। এবার এটা একটি প্যানে দিয়ে দিন এবং ফ্রিজে রেখে জমিয়ে নিন।
এবার চিজ কেকের ফিলিং বানানোর জন্যে ব্লেন্ডার ক্রিম চিজ, কর্নফ্লাওয়ার, কন্ডেন্সড মিল্ক ও এলাচ গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিন।
এবার এই মিশ্রণটি ফ্রিজে রাখা বিস্কুট বেসের ওপর ঢেলে দিন। এবার এতে বোঁদে ছড়িয়ে দিন।
এবার বাটি সমেত এই চিজ কেক ওয়াটার বাথে বেক করে নিন। এবং তারপর ওভেনে বেক করে নিন।
বেক করার পর চিজ কেক রুম টেম্পারেচারে এলে এটাকে ফ্রিজে রেখে দিন। অন্ততপক্ষে আট ঘন্টা ফ্রিজে রাখুন। পরিবেশনের সময় ওপর থেকে বোঁদে ছড়িয়ে দিতে পারেন।
চিজকেকে ক্রিম চিজ ও হুইপিং ক্রিম থাকায় এটা খেতে আরও ভাল লাগবে। ভীষণ হাল্কা একটা টক ভাব হবে। যা এই চিজকেক কে আরও সুস্বাদু বানিয়ে তুলবে।