চন্ডীগড়: হাত-পা কেটে দলিত যুবককে খুনে অভিযুক্ত নিহাঙ্গ সর্বজিৎ সিংকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠাল আদালত৷ আজ শনিবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়৷ ১৪ দিনের জন্য সর্বজিতকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল পুলিশ৷ কিন্তু বিচারক সাত দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন৷ এদিকে দলিত যুবককে নির্মমভাবে খুনের পরেও কোনও বিকার নেই সর্বজিতের৷ তাঁর কথায়, যা করেছি বেশ করেছি৷ কোনও অনুশোচনা নেই৷
আরও পড়ুন: একাদশীতে মল্লিকবাজারে রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে ৩টি ইঞ্জিন
আত্মসমর্পণের আগেও সর্বজিত জানিয়েছিলেন দলিত যুবকের প্রাণ কেড়ে কোনও অন্যায় করেননি৷ খুনের দায় নেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন এই শিখ নিহাঙ্গ৷ তখন তাঁকে ঘিরে একটাই প্রশ্ন ধেয়ে আসতে থাকে৷ খুন করে কোনও অনুশোচনা হচ্ছে কিনা জানতে চান সাংবাদিকরা৷ জবাবে সর্বজিৎ মাথা নেড়ে উত্তর দেন, ‘না’৷
শুক্রবার সকালে সিংঘু সীমানায় কৃষকদের আন্দোলনের মঞ্চ থেকে দূরে হাত-পা কাটা অবস্থায় এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়৷ তদন্তের পর পুলিশ মৃত ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানতে পারে৷ মৃতের নাম লখবীর সিং৷ পঞ্জাবের তার্ন তারান জেলার বাসিন্দা৷ ঘটনায় দায় নিহাঙ্গদের উপর চাপান সিংঘু সীমানায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া কৃষকরা৷ এর পরই খুনের ঘটনা স্বীকার করে নেন সর্বজিৎ৷
শিখ যোদ্ধা নিহাঙ্গ সম্প্রদায়ের তরফে বলা হয়, দৈবের অপরাধ করেছিলেন লখবীর৷ পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অসম্মান করে অপরাধ করেছিলেন৷ নীরভইর খালসা-উডনা দলের নেতা পন্থ অকালি বলবিন্দর সিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন আগে লখবীর তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল৷ ক্যাম্পে কিছুদিন কাটায়৷ ওর সেবায় খুশি হয়েছিল সবাই৷ নিহাঙ্গদের মন জয় করে নিয়েছিল লখবীর৷
আরও পড়ুন: আপাতত আস্থা সনিয়াতেই, ২০২২-এর সেপ্টেম্বরে নতুন সভাপতি বাছতে পারে কংগ্রেস
কিন্তু ওই ছেলেটি পরে বিশ্বাসঘাতকতা করে বলে জানান বলবিন্দর৷ বলেন, ‘প্রকাশ প্রার্থনার আগে পবিত্র ধর্মগ্রন্থের উপর থেকে কাপড় সরিয়ে দিয়েছিল৷ এটা ধর্মগ্রন্থের অপমান৷ ওই ঘটনা কয়েকজন নিহাঙ্গ দেখে ফেলেন৷ তাঁরা লখবীরকে ধাওয়া করেন৷ কিছুদূর এগিয়ে যাওয়ার পর একটি বেসরকারি হাসপাতালের কাছে লখবীরকে ধরে ফেলেন সকলে৷ পবিত্র ধর্মগ্রন্থটি তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করেন নিহাঙ্গরা৷’ এর পরই দেওয়া হয় শাস্তি৷