সিংঘু: পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অসম্মান করে অপরাধ করেছিল৷ শাস্তি হিসেবে তাই হাত-পা কেটে লখবীরকে খুন করে শিখ যোদ্ধা নিহাঙ্গরা৷ শুক্রবার সকালে সিংঘু সীমানায় কৃষকদের মঞ্চ থেকে কিছুটা দূরে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ সেই খুনের দায় নিল নিহাঙ্গরা৷ সূত্রের খবর, সর্বজিৎ সিং নামে এক নিহাঙ্গ কুন্ডলী থানায় যাচ্ছেন আত্মসমর্পণ করতে৷
আরও পড়ুন: সিংঘু সীমানায় যুবক খুনে অভিযুক্ত শিখ ‘যোদ্ধা’ নিহাঙ্গরা, দাবি কৃষকদের
তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, দলিত ঘরের ছেলে লখবীর পঞ্জাবের তার্ন তারান জেলার বাসিন্দা৷ পেশায় সে একজন শ্রমিক ছিল৷ বাড়িতে স্ত্রী, তিন কন্যা সন্তান এবং একটি বোন আছে৷ তিন মেয়ের মধ্যে সবচেয়ে বড়টির বয়স ১২ বছর৷ আজ সকালে দলিত যুবকের হাত-পা কাটা অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই পঞ্জাব-হরিয়ানায় আলোড়ন পড়ে যায়৷ ঘটনায় দায় নিহাঙ্গদের উপর চাপান সিংঘু সীমানায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া কৃষকরা৷ এর পরই খুনের ঘটনা স্বীকার করে নেয় তারা৷
নীরভইর খালসা-উডনা দলের নেতা পন্থ অকালি বলবিন্দর সিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে লখবীর তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল৷ ক্যাম্পে কিছুদিন কাটায়৷ ওর সেবায় খুশি হয়েছিল সবাই৷ নিহাঙ্গদের মন জয় করে নিয়েছিল লখবীর৷ কিন্তু ওই ছেলেটি পরে বিশ্বাসঘাতকতা করে৷ প্রকাশ প্রার্থনার আগে পবিত্র ধর্মগ্রন্থের উপর থেকে কাপড় সরিয়ে দিয়েছিল৷ এটা ধর্মগ্রন্থের অপমান৷ ওই ঘটনা কয়েকজন নিহাঙ্গ দেখে ফেলে৷ তার পর লখবীরকে ধাওয়া করে৷ কিছুদূর এগিয়ে যাওয়ার পর একটি বেসরকারি হাসপাতালের কাছে লখবীরকে ধরে ফেলে সকলে৷ পবিত্র ধর্মগ্রন্থটি তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করে নিহাঙ্গরা৷ এর পরই দেওয়া হয় শাস্তি৷
আরও পড়ুন: প্রয়াত দৈনিক জাগরণের চেয়ারম্যান যোগেন্দ্রমোহন, শোকপ্রকাশ রাহুলের
লখবীরের উপর নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল৷ আর নির্মমভাবে সেই হত্যার ভিডিও দেখে শিউরে উঠেছেন নেটিজেনরা৷ তাতে কোনও তাপ উত্তাপ নেই বলবিন্দরের৷ তাঁর কথায়, ‘ধর্মগ্রন্থের অপমান যে করবে তাঁকে এভাবেই শাস্তি দেওয়া হবে৷’ ওই সময় নিহাঙ্গরা পুলিশ৷ তারাই বিচারক৷