কলকাতা: করোনা নিয়ে ডাক্তার-বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা কি সত্যি হতে চলেছে? টানা তিন দিনের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি অন্তত সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত উত্তোরত্তর কলকাতা,উত্তর ২৪ পরগণা সহ গোটা রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ বেড়েছে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার৷ যা নিয়ে আরও একবার বেপরোয়া ভিড়ে লাগাম টানার আবেদন করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ তা না হলে আশঙ্কাবাণী সত্যি হওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র৷
দুর্গা পুজোর আগে রাজ্যের বহু মানুষ করোনা ভ্যাকসিন পেয়েছেন৷ তাঁদের মধ্য কেউ ডবল ডোজ, কেউ সিঙ্গেল ডোজ পেয়েছেন৷ কিন্তু, ভ্যাকসিন নিলেই যে করোনা হবে না, এমনটা চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞ কেউই বলেন নি৷ কিন্তু, তারপরও এক শ্রেণির বেপরোয়া মানুষ তৃতীয় থেকে পুজো মণ্ডপে ভিড় জমাতে শুরু করেন৷ সময়ের সঙ্গে সেই ভিড় চতুর্থী, পঞ্চমী..অষ্টমীতে মাত্রা ছাড়িয়েছে৷ আর ঠিক এ দিন রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের করোনা বুলেটিন দেখে উদ্বেগ বেড়েছে চিকিৎসক ও প্রশাসনিক মহলে৷
আরও পড়ুন-বাড়িতেই পুজোর গেট টুগেদার আরও সহজ করবে এই বায়োডিগ্রেডেবেল কাটলারি
বুধবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৭৭১ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে৷ জেলায় সংক্রমণের হারের নিরিখে যথারীতি কলকাতা সবার উপরে৷ তারপরই উত্তর ২৪ পরগনা৷ কলকাতায় একদিন দুইশো জনের বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২৮ জন৷ মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের৷ তার মধ্যে ৪ জন উত্তর ২৪ পরগনার আর ৩ তিন কতকাতার৷
আরও পড়ুন-জৌলুস হারাল বুর্জ খলিফা, দমদম বিমানবন্দরের নির্দেশে নেভানো হল লেজার লাইট
অথচ, গত ১১ তারিখ সোমবার রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার তুলনামূলক কম ছিল৷ অভিজ্ঞমহলের মতে, মহালয়ার পর থেকে কলকাতা ও কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনার বড় অংশের মানুষ বেপরোয়া হয়ে পড়ে৷ করোনা বিধি উপেক্ষা করে শেষ কেনাকাটা করতে বাজার-শপিং মল, কলকাতার চাঁদনী, নিউ মার্কেট গুলি ভিড় উপচে পড়ে৷ রাজ্য সরকার যতই করোনা বিধি নিষেধের কড়া বার্তা দিক না কেন, পুজোতে এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে বেপরোয়া ভাব বেড়েছে৷ অনেকেই ভ্যাকসিনেক দোহাই দিয়ে মাস্ক-স্যানিটারজার ছাড়াই বাচ্চা-বয়ষ্কদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন৷ পড়ছেনও৷ কারও আবার বক্তব্য, অষ্টমীর মধ্যে সব মণ্ডপ ঘোরা শেষ করতে হবে৷ তাই, ভিড় হলেও বেরতো হয়েছে৷ কিন্তু, ওই সমস্ত দর্শকের মুখে একবারও করোনা বা মাস্ক-করোনা স্বাস্থ্য বিধির কথা শোনা যায়নি৷ আর এখানেই উদ্বেগ বাড়ার অন্যতম কাররণ বলে মনে করা হচ্ছে৷