বেঙ্গালুরু: ভারতের সমাজে বাড়ছে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাব৷ পাশ্চাত্য দেশগুলির মত ভারতের ছেলে-মেয়েরা আর বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতে চায় না৷ মেয়েরাও হয়ে উঠেছে আধুনিক৷ এই আধুনিক ভারতীয় নারী গর্ভে সন্তান ধারণে অনিচ্ছুক৷ কিন্তু গর্ভ ভাড়া নিয়ে সন্তান পেতে কোনও অসুবিধা নেই৷ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে এমনই মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করলেন কর্ণাটকের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডক্টর কে সুধাকর৷
আরও পড়ুন: মন্ত্রী ও তাঁর ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে সরকার, বারাণসীর ব়্যালি থেকে তোপ প্রিয়াঙ্কার
করোনাকালে অনেকেই নানা কারণে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তা মেনে নেন ডক্টর কে সুধাকর৷ ওই সময় করোনায় মৃতদের পরিবারের লোকেরা ছুঁতে পারেননি৷ তাঁদের শেষকৃত্যে অংশে নিতে পারেননি৷ তখন কাছের মানুষরা যে মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে তা কাটানোর জন্য অনেকে কাউন্সিলরদের কাছে ছুটে যান৷ তখন সরকারের তরফে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়৷ সুধাকর বলেন, এখনও পর্যন্ত কর্ণাটকে ২৪ লক্ষ কোভিড রোগীর মানসিক চিকিৎসা করিয়েছে সরকার৷
কর্ণাটকের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডক্টর কে সুধাকর ৷ ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ৷
এর পাশাপাশি, দেশের নাগরিকদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷ বলেন, ‘প্রতি সাতজনের একজন কোনও না কোনও মানসিক সমস্যায় ভুগছেন৷ সেটা হালকা, মাঝারি অথবা গুরুতর উপসর্গ হতে পারে৷ কিন্তু চাপ সামলানোর একটা কায়দা রয়েছে৷ যাকে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট বলে৷ কিন্তু ভারতীয়দের স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট শেখার কোনও দরকার নেই৷ কেননা আমাদের পূর্বপুরুষরা যোগ, প্রাণায়ম ও ধ্যানের মাধ্যমে সেই চাপ কাটিয়ে ওঠার কায়দা বহু বছর আগে শিখিয়ে দিয়ে গেছে৷ বরং বিশ্বকে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট শেখানো উচিত ভারতীয়দের৷’
আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’ মাদ্রাসা শিক্ষকের
ডক্টর কে সুধাকরের মতে, ভারতের সমাজে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাব বাড়ছে৷ সেজন্য মানসিকতাতেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ যা ভারতের সমাজের পক্ষে ভালো নয়৷ তিনি বলেন, ‘আমার বলতে খারাপ লাগছে, আজ আধুনিক ভারতীয় নারী একা থাকতে চায়৷ যদি বিয়ে করেন তাহলে সন্তান ধারণে অনিচ্ছুক৷ তাঁরা সারোগেসি চান৷ মানসিকতার এই পরিবর্তন ভালো লক্ষণ নয়৷’ আক্ষেপ করে জানান, বিদেশের মত এখানকার ছেলে-মেয়েরা নিজেদের বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতে চায় না৷ আর দাদু-দিদিমার সঙ্গে থাকার তো প্রশ্নই ওঠে না৷