ওয়ার্ক ফ্রম হোম হোক কিংবা না হোক, এই অতিমারির যুগে চোখের ওপর চাপ বেড়েছে কয়েকগুন। কাজের পরেও ভার্চুয়্যাল ওয়ার্ল্ডে সময় কাটানো হোক কিংবা বিনোদনের জন্য ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চোখ রাখা। আবার বন্ধু ও আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ফেসবুক মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপে সময় কাটানো।চোখ জোড়ার রেহাই নেই। তাই দিন দিন বাড়ছে চোখের সমস্যা। চোখের জল পড়া, কিংবা জ্বালা ভাব কিংবা পান্ডা আইজ বা ডার্ক সার্কেল। চোখ আমাদের শরীরের সব থেকে সংবেদনশীল অঙ্গ। তাই চোখের ছোটখাটো সমস্যা এড়িয়ে যাবেন না। তাই চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে সময়ে চোখের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। তাই চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই নিয়মগুলো মেনে চলুন, যেমন-
লেখা বা পড়ার কাজের সময় আরামদায়ক চেয়ারে, পীঠ ও ঘাড় সোজা রেখে বসুন। কোমড় ও হাঁটু ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে রাখুন।
বই পড়ার সময় বা লেখার সময় এমন জায়গায় বসুন যেখানে আলো সরাসরি পড়ে এর ফলে লেখা বা পড়ার ক্ষেত্রে অযথা ছায়া সৃষ্টি করে দেখার সমস্যা হবে না।
কোনও কিছু লেখা বা পড়ার সময় চোখে যেন সরাসরি আলো এসে না পড়ে। এর ফলে চোখে অযথা চাপ পড়ে এবং লেখার বা পড়ার কাজে সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই ব্যাকগ্রাউন্ডে ডিফিউজ লাইট এবং কাজের জায়গায় ফোকাসড লাইট থাকে তা নিশ্চিত করুন।
ওয়ার্কিং ডিসট্যান্স সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার রাখা ভাল।
ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের স্ক্রিন চোখের লেভেলে থাকা ভাল। স্ক্রিনের দিকে তাকানোর সময় চোখ নামিয়ে বা চোখ উঁচু করে না তাকানোই ভাল।এতে চোখের ওপর অযথা চাপ সৃষ্টি হয়।
কমপিউটার বা ল্যাপটপ স্ক্রিনে যাতে বাড়তি আলো না পড়ে। তাই যেখানে কাজ করতে বসবেন দেখে নেবেন যাতে আপনার পীঠের পিছনে কোনও জানলা বা বাল্ব যাতে জ্বালানো না থাকে।
ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে এক টানা কাজ না করে মাঝেমধ্যেই ব্রেক নিন। খোলামেলা জায়গায় গিয়ে তাজা বাতাস নেওয়া খুবই জরুরী। শরীর সুস্থ রাখতে ২০ পা হাটুন, জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস নিন অন্তত ২০ বার। এবং কমপক্ষে ২০ বার চোখের পাতা ফেলুন এবং স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে পীঠ ও ঘাড় সোজা রেখে প্রায় ২০ ফিট পর্যন্ত দেখুন।
প্রয়োজনে চিকিতসকের পরামর্শ মেনে লুব্রিকেন্ট আই ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন, প্রিজারভেটিভ ফ্রি চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন।