মুম্বই: প্রমোদতরী থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় শনিবার আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচাকে আটক করেছিল এনসিবি। সেই হাইপ্রোফাইল অভিযানে দুই ব্যক্তির উপস্থিতি ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এনসিবির আধিকারিকরাও জানিয়েছেন, তাঁরা দুজন এনসিবির সঙ্গে যুক্ত নন।
প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে ওই দু’জন সেখানে পৌঁছে গেলেন। শনিবার গভীর রাতে আরিয়ান ও আরবাজকে প্রমোদতরী থেকে এসকর্ট করে এনসিবির মুম্বইয়ের অফিসে নিয়ে আসা হয়। মণীশ ভানুশালি, কেপি গোসাই তাঁদের এসকর্ট করে নিয়ে আসেন। এনসিবির আধিকারিকদের বদলে তাঁরা কেন এই কাজ করলেন? তাঁদের আসল পরিচয়ই বা কী?
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে প্রাণ সংশয়ের মুখে তিনি, দাবি আরিয়ান কাণ্ডে অভিযুক্ত বিজেপি নেতার
গোসাই নিজেকে প্রাইভেট গোয়েন্দা বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। মালয়েশিয়ার বাসিন্দা গোসাই একটি জব প্লেসমেন্ট সংস্থাও চালান। ৩ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের হাতে আটকও হয়েছিলেন একবার। বিজেপি সমর্থক মণীশ ভানুশালি সঙ্গে আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ছবি ভাইরাল হয়েছে।
পুরো বিষয়টা নিয়ে বোমা ফাটিয়েছেন শরদ পাওয়ারের দল তথা মহারাষ্ট্রে উদ্ধব সরকারের সহযোগী ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির মুখপাত্র নবাব মালিক। মহারাষ্ট্র সরকার এবং বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই চক্রান্ত করা হয়েছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন তিনি। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে এনসিবি।
আরও পড়ুন: আরিয়ান খান মাদক কাণ্ডে রয়েছে বিজেপির হাত, দাবি এনসিপির
আরিয়ানের সঙ্গে কেপি গোসাই
এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিংয়ের দাবি, প্রমোদতরীতে অভিযানের ঘটনায় মোট ৯ জন সাক্ষী রয়েছেন। সেই তালিকায় নাম রয়েছে মণীশ ভানুশালি ও কিরণ গোসাইয়ের। ভানুশালিও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিজেপিতে তাঁর কোনও পদ নেই। সাক্ষী হিসেবে এনসিবির অফিসে গিয়ে নির্দিষ্ট কিছু নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন তিনি।
গত রবিবার মাদক সহ গ্রেফতার করা হয় আরিয়ানকে। সে দিন কর্ডেলিয়া ক্রুজ নামে এক প্রমোদতরীতে একটি মিউজিক্যাল সফরের আয়োজন করা হয়েছিল। পনেরোশো যাত্রী নিয়ে মুম্বই থেকে গোয়া রওনা হয়েছিল ওই বিলাসবহুল প্রমোদতরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলিউড, ফ্যাশন, বাণিজ্যজগতের বহু মানুষ।
আরও পড়ুন: যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, পার্টি-ড্রাগস হোয়াইট ম্যাজিক ছাড়াও আরও কত নিষিদ্ধ মাদক আরিয়ানের হেফাজতে
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সঙ্গে মণীশ
ওই প্রমোদতরণীতে ড্রাগ-মজুতের আগাম খবর যায় এনসিবির কাছে। সেখান থেকেই শাহরুখ পুত্র আরিয়ান, তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু-সহ মোট ৮ জনকে আটক করে এনসিবি। রবিবার টানা জেরার পর আরিয়ান সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। আরিয়ানের কাছ থেকে ১৩ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ৫ গ্রাম মেফেড্রোন ও ২২টি এমডিএমএ (একস্ট্যাসি) পিলস উদ্ধার করেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকরা।