আপেল, কলা, পেয়ারা ও অন্যান্য মরসুমি ফলের ভিড়ে ফল হিসেবে কাসটার্ড অ্যাপেল বা আতা অনেকটাই অবহেলিত। যাঁরা আতার গুন জানেন তাঁরা আতা খান ঠিকই তবে অধিকাংশই শরীর সুস্থ্য রাখতে আতার গুন সেভাবে জানেন না। মরসুমি ফল খাওয়ার কথা সব সময় বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আগে কখনও খাননি বলে চেনা ফলের বাইরে নতুন করে কোনও ফল খাওয়ার কথা ভাবেন না অনেকেই। তবে অন্য কোনও ফল না খেলেও এই কাসটার্ড অ্যাপেল বা আতা না খেলেই নয়। খেতে অনেকটা আনারস বা কলার মতো এই ফলের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। এই কারনে হাড়ের শক্তি ও স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এটি ভীষণ কার্যকরী।
এছাড়াও আতায় রয়েছে ভিটামিন বি৬। এই ভিটামিন খেলে ব্লোটিং, পিএমএস (প্রি মেনসট্রুয়াল সিনড্রোম) সমস্যার সমাধান হবে। বিশেষ করে যাঁদের ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাঁদের জন্যেও বেশ উপকারী এই ফল। আতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডায়টারি ফাইবার রয়েছে যা রক্ত শর্করার মাত্রা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনে। আর পোটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে বলে জানিয়েছেন জনপ্রিয় নিউট্রশনিস্ট মুনমুন গানেরিওয়াল। এছাড়াও এই সব কারণেও স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী আতা, যেমন-
View this post on Instagram
আতার কার্যকারিতা নিয়ে এর আগে তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করেন সেলিব্রেটি নিউট্রশনিস্ট রুজুতা দিবাকর।
View this post on Instagram
তবে দিনে কতটা আতা খাওয়া স্বাস্থ্যকর?
View this post on Instagram
এই প্রসঙ্গে ফিটনেস ইনফ্লুয়েনসার জুহি কাপুর জানাচ্ছেন আতার পুষ্টি পেতে হলে রোজ এই ফল খাওয়া উচিত। পাশাপাশি তিনি এটাও জানিয়েছেন আতার মিষ্টি স্বাদের জন্য আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। ফলে মিষ্টি স্বাদের কারণ হল ফ্রুকটোজ নামক একটি বিশেষ উপাদান। আর এই উপাদান সহজে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না। পাশাপাশি এতে যে ফাইবার রয়েছে তা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে দেয় না। তাই দিনে একটা করে আতা খেতে পারেন কিংবা আবার আতার তৈরি রকমারি মিষ্টির, কেক বানিয়ে খেতে পারেন।