নয়াদিল্লি: লখিমপুর খেরির ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট৷ জানিয়েছে, যা ঘটেছে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক৷ তবে এই ঘটনায় পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, কাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে, কতজনকে গ্রেফতার করেছে তা বিস্তারিত ভাবে রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত৷ এ জন্য যোগী সরকারকে ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে৷ আগামিকাল শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি হবে৷ তখন সুপ্রিম কোর্টকে এই মামলার অগ্রগতি জানাতে হবে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে৷
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট বিস্তারিত তথ্য চাইতেই মন্ত্রীর ছেলেকে তলব উত্তরপ্রদেশ পুলিশের
এদিন আদালতে শুনানির সময় উত্তরপ্রদেশ সরকারের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল গরিমা প্রসাদ বলেন, লখিমপুরের ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক৷ শুনে প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা বলেন, ‘আমাদেরও সেটাই মনে হয়েছে৷’ বেঞ্চের অপর বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ‘কিন্তু আমরা জানতে চাই কারা অভিযুক্ত? এফআইআরে কাদের নাম রয়েছে? তাদের কি গ্রেফতার করা হয়েছে?’ অ্যাডভোকেট জেনারেল গরিমা প্রসাদ তখন বলেন, রাজ্য সরকার স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করেছে৷ বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে৷ এফআইআর হয়েছে৷ তদন্ত চলছে৷
সরকার এত পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও তাতে খুশি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট৷ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কিন্তু অভিযোগ উঠছে তদন্তই ঠিক মত হচ্ছে না৷’ তখন প্রধান বিচারপতি রামানা দুই আইনজীবী শিবকুমার ত্রিপাঠী এবং সি এস পান্ডার লেখা চিঠির কথা বলেন৷ চিঠিতে লেখা হয়েছে কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য লখিমপুরে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে..৷ গণতান্ত্রিক দেশে যে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, উত্তরপ্রদেশ সরকার তা নেয়নি৷
আরও পড়ুন: লখিমপুরের পর আম্বালা, বিজেপি সাংসদের গাড়ির ধাক্কায় আশঙ্কাজনক কৃষক
এর পরই প্রধান বিচারপতি বলেন, ২৪ ঘণ্টা সময় দিলাম৷ শুক্রবারের মধ্যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে৷ যে আট জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানোর নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত৷ পাশাপাশি, মৃত ১৯ বছরের কৃষক সন্তানের মাকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি৷ ছেলের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন৷